তিনি মাঠে নেই, তবু তাকে নিয়ে অনেক কথা! ভক্ত, সমর্থকদের নানান কৌতূহল। ‘তিনি তো কোনো ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। শুধু জুয়ারিদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে জানাননি। এটা ভুল, অপরাধ নয়। কাজেই সাকিবকে অপরাধী ভাবার কারণ নেই’- সাকিব অন্তঃপ্রাণ ভক্তদের দাবি, লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তা নিয়ে অনেক আক্ষেপও আছে।
Advertisement
আবার উল্টো কথাও শোনা যায় । সাকিব আসলে সৌভাগ্যবান। তার শাস্তির বড় সময়টা করোনার পেটেই চলে গিয়েছে। সে অর্থে সাকিব তেমন বড় কোনো আসর মিস করেননি। বড়জোর এক-দুইটি সিরিজ ও সফরে অংশ নেয়া হয়নি।
করোনার কারণে এরই মধ্যে বাংলাদেশের পাঁচটি সিরিজ (দুটি ঘরের মাটিতে, তিনটি বিদেশ সফর) স্থগিত হয়ে গেছে। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও স্থগিত। করোনা না হলে এই সবগুলো আসর মিস করতেন সাকিব। এখন যা অবস্থা, তাতে সাকিব সাসপেন্সন মুক্ত হয়ে বেশিরভাগ খেলায়ই অংশ নিতে পারবেন।
এদিকে সময় বয়ে চলেছে বহতা নদীর মত। দেখতে দেখতে কেটে গেল সময়। জুয়ারিদের ফোন পেয়ে তা টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি কিংবা আইসিসি দূর্নীতি দমন সংস্থাকে না জানিয়ে প্রায় ৯ মাস আগে নিষিদ্ধ হওয়া সাকিবের মুক্ত হবার সময়ও চলে আসলো।
Advertisement
আগামী ২৯ অক্টোবর তার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে আর মাত্র ৯৫ দিন। তারপরই আবার মুক্ত হয়ে যাবেন ‘বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব আল হাসান।’সবার জানা, এখন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তাও অনেকদিন হয়ে গেল। সেই মার্চে দেশ ছেড়েছেন সাকিব। কবে ফিরবেন দেশে? ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহলের শেষ নেই। সাকিবের অতি ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, করোনা না থাকলে অনেক আগেই দেশে চলে আসতেন সাকিব। তবে বর্তমান অবস্থায় দেশে সহসাই ফেরার সম্ভাবনা খুব কম তার।
সাকিবের খুব কাছের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আপাতত সাকিব আর দেশে ফিরবেন না। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত অতি অবশ্যই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে সেপ্টেম্বর মাসে সাকিবের দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ভিন্ন কথা, না হয় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দেশে দেখা যেতে পারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
এআরবি/এসএএস/এমএস
Advertisement