বিনোদন

মিশা-জায়েদকে নিয়ে চলচ্চিত্রে দ্বন্দ্ব, এগিয়ে আসছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

চলচ্চিত্রে সংকটের অভাব নেই। তারউপর করোনার কারণে বন্ধ হয়ে আছে শুটিং। মুক্তি পাচ্ছে না সিনেমা। কাজহীন হয়ে অসহায় দিনযাপন করছেন শত শত শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এফডিসিতে বহুতল ভবন নির্মাণের বিতর্ক।

Advertisement

তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সেখানকার মানুষদের মধ্যে চলমান বিরোধ ও দ্বন্দ্ব নিয়ে। বেশকিছু অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতি ব্যতীত চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন থেকে বয়কট করা হয়েছে শিল্পীদের সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে। তাদের দাবি এই দুই নেতার পদত্যাগ করতেই হবে। নইলে শিল্পী সমিতির সদস্য শিল্পীদের এড়িয়ে চলবে ১৮ সংগঠন।

এই ঘোষণার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ১৮ সংগঠনের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে শিল্পী সমিতি। অনেক সিনিয়র শিল্পীও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ নিয়েই উত্তাল এখন চলচ্চিত্রপাড়া। কী হবে? সত্যি কি মিশা-জায়েদ পদত্যাগ করবেন? শিল্পীরা তাদের সংগঠন বাঁচাতে, চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকতে তাদের দুই নেতাকে ত্যাগ করবেন- এইসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এফডিসিতে। অস্থিরতা কাটাতে কী হবে আদতে সমাধান?

Advertisement

খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, চলচ্চিত্রের বর্তমান এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসতে যাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি সিনেমার মানুষদের মধ্যে বিবাদ ও দ্বন্দ্ব মেটাতে মাঠে নামতে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে নাকি আলোচনায় বসতে প্রতিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছেন তিনি।

ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে, ইলিয়াস কাঞ্চন শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শিল্পীদের কাছে সফল নেতা হিসেবে জনপ্রিয়। তার উপর আস্থা রাখেন সমিতির সদস্যরা। পাশাপাশি সুন্দর ব্যক্তিত্ব ও আচরণের জন্য চলচ্চিত্রের সবার কাছেই তিনি প্রিয় মানুষ। তাই তিনি উদ্যোগ নিলে চলমান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা করা যায়। সেই সম্ভাবনাতেই সিনেমাপাড়ায় স্বস্তির সুবাতাস বইছে।

এ বিষয়ে অবশ্য ইলিয়াস কাঞ্চন মুখ খুলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমি সিনেমার মানুষ এটাই আমার বড় পরিচয়। আমি চলচ্চিত্র পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সবসময়ই গর্ববোধ করি। সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন প্রতিটি মানুষই আমার আপন। আর শিল্পী হিসেবে প্রতিটি শিল্পী ও শিল্পীদের সমিতির প্রতি আমার অন্যরকম একটা আবেগ কাজ করে। আমি কখনোই চাই না চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে শিল্পীদের সম্পর্ক খারাপ থাকুক, দূরত্ব বাড়ুক। সিনেমার এই দুর্দিনে আমরা এক হয়ে পথ চলতে চাই। সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক করতে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, গেল বছরে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দারুণ প্রশংসিত হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সেসময় সবার কাছে নিরপেক্ষতার জন্য সম্মানও অর্জন করেন তিনি।

Advertisement

এলএ/এমএস