অর্থনীতি

বিদেশি বিনিয়োগ টানতে একগুচ্ছ সুপারিশ

>> কর্পোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট কমানোসহ কর অব্যাহতির প্রস্তাব>> দ্রুত ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুসহ রয়েছে একগুচ্ছ সুপারিশ>> এসব প্রস্তাব নিয়ে টাস্কফোর্স বৈঠকে শিগগিরই পর্যালোচনা

Advertisement

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস (কোভিড- ১৯) মহামারির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়তে চাচ্ছে অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। চীন থেকে মুখ ফেরানো এসব বিদেশি বিনিয়োগ নিজেদের দেশে টানতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ।

তবে বিনিয়োগ-উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা পর্যালোচনা করে কর্পোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট কমানো, ক্ষেত্রে বিশেষ শতভাগ কর অব্যাহতি প্রদান, দ্রুত ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুসহ একগুচ্ছ সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি।

করোনা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ স্থানান্তরিত হয়ে নতুন গন্তব্যে স্থিরের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টের সামগ্রিক কর্মকৌশল ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এ বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি ইতোমধ্যে গঠন করে সরকার। এ কমিটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে সভা করে। সভায় উপস্থাপিত সুপারিশগুলো সরকারের নিকট পাঠানো হয়েছে। সভার কার্যপত্র সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

করোনা-পরবর্তী পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগ কেন প্রয়োজন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়— তা নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে তৃতীয়টি।

সভার কার্যপত্রের সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের কর্পোরেট ট্যাক্স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিনিয়োগের খাত ও বিনিয়োগের স্থান বিবেচনায় কর্পোরেট ট্যাক্স বর্তমানের ৩৫ শতাংশ থেকে যৌক্তিক ও ধারাবাহিকভাবে হ্রাস করার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে বিড়ি, তামাক, সিগারেট প্রভৃতি খাত ব্যতীত কর্পোরেট কর বিদ্যমান হার ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২০ শতাংশ। ভারতে সম্প্রতি পূর্বের করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে; তবে, শিল্প খাতের নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য এ হার ১৭ শতাংশ।

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের স্বার্থে প্রতিযোগী দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করহার হ্রাস করা প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিটি। বিনিয়োগকারীদের কর অবকাশ সুবিধা প্রদানের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উচ্চমূল্য সংযোজন এবং আধুনিক প্রযুক্তির পণ্যখাত যেমন- সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স অটোমোবাইল, উন্নত প্রযুক্তির মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট প্রভৃতি উৎপাদনের প্রথম সাত বছরের জন্য শতভাগ কর অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement

উচ্চমূল্য সংযোজন ও আধুনিক প্রযুক্তির পণ্যখাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনের শুরুর প্রথম পাঁচ বছরের জন্য নগদ প্রণোদনা প্রদান এবং এ খাতের গবেষণা, টেস্টিং, মানোন্নয়ন ও প্রমোশনের ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, ইনোভেশন সেন্টার এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ কর অব্যাহতি এবং পরবর্তী পাঁচ বছর ৫০ শতাংশ হারে আয়কর অব্যাহতি প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সাত বছরের জন্য এবং ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ১০ বছরের জন্য ৫০ শতাংশ কর অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কমপক্ষে ৩০০ জনের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রকল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদনের প্রথম সাত বছরের জন্য শতভাগ কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জমি বরাদ্দের সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু এবং কমপক্ষে ৩০০ জনের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রকল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদনের প্রথম সাত বছরের জন্য শতভাগ কর অব্যাহতি এবং পরবর্তী তিন বছরের জন্য ৫০ শতাংশ কর অব্যাহতি প্রদান করা যায় বলে কমিটি মত দিয়েছে।

প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের ন্যায় অনগ্রসর এলাকায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎপাদনের প্রথম ১০ বছরের জন্য শতভাগ কর অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া শতভাগ রফতানিমুখী বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদনের প্রথম ১০ বছরের জন্য শতভাগ কর অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করেছে কমিটি।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে সকল শ্রেণির বিনিয়োগে ২০ শতাংশ হারে নগদ ভর্তুকি বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটি বলছে, বর্তমানে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে স্থাপিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে ২০ শতাংশ হারে নগদ ভর্তুকি প্রদান করা হয়, আর অর্থনৈতিক অঞ্চলের দেশীয় মালিকানায় স্থাপিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ৪ শতাংশ নগদ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তবে বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি। এটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সামগ্রিক দর্শনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করছে কমিটি।

সুপারিশমালায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের সকল শিল্পে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপনের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইকোনমিক জোনে উৎপাদনরত ও নির্মাণাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনের প্রথম চার বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরুর প্রথম তিন বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পায়, তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে উক্ত সুবিধা অতিরিক্ত এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন করহার হ্রাস তথা পুনর্নির্ধারণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প স্থাপনে বিদেশী বিনিয়োগকারী কর্তৃক জমি ক্রয়কালে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহিত দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে আগামী দুই বছরের জন্য ১২ শতাংশ করা যেতে পারে; সিগারেট, মোবাইলসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি খাত ব্যতিরেকে। ভিয়েতনামে এ সংক্রান্ত ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ। পাশাপশি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে এ হার ১০ শতাংশ।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের আগে বিনিয়োগকারীদের লিজমূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয় যা প্রত্যাহারের প্রস্তাত করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে কোনো ভ্যাট দিতে হয় না।

সাধারণভাবে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও তা নমনীয় হতে হবে এবং চাহিদার আলোকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌক্তিকভাবে ও সমতার ভিত্তিতে বরাদ্দ করতে হবে বলে সুপারিশমালায় বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি উভয় কোম্পানিকে সমান হারে প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিনিয়োগ বিকাশে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর বিষয়ে সকল অংশীজনের (সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা) অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিডা ও বেজা’র প্রস্তাবনা অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিধিমালায় বিভিন্ন সেবার জন্য প্রয়োজনীয় সময়সীমা এবং সেবা প্রদান পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীদের অনেক ক্ষেত্রেই উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সেবা না দেয়ার ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে আরও জবাবদিহিমূলক করা আবশ্যক বলে মনে করছে কমিটি।

এ অবস্থায়, ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিধিমালায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো দফতর বা সংস্থা থেকে লাইসেন্স, পারমিট বা অনুমতি প্রদান না করা হলে উল্লিখিত সময় অতিবাহিত হওয়া মাত্র বিনিয়োগকারীকে উক্ত লাইসেন্স, পারমিট বা অনুমতি প্রদান করা হয়েছে বলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিযোগী দেশের বিনিয়োগ সুবিধা পর্যালোচনা করে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে বিডা, বেজা ও বেপজা’র সমন্বিতভাবে জরুরি ভিত্তিতে একটি বিশেষায়িত সমীক্ষা পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। স্টাডিতে স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন, ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন, কি-ইনফরমেন্ট ইন্টারভিউ- ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট সুপারিশ বের করে আনতে বলা হয়েছে।

এছাড়া জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণে জাপানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক পছন্দ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সঙ্গে প্লাস ১ হিসাবে বাংলাদেশকে চিহ্নিতের বিষয়ে জোর তৎপরতা চালাতে হবে।

বিনিয়োগ বিকাশে প্রতিশ্রুতিশীল বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আঞ্চলিক ও নিকটবর্তী দেশসমূহের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরুর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ বিমান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ ও হাইটেক পার্ক অথরিটি বিনিয়োগবান্ধব কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার প্রদানপূর্বক বিনিয়োগ নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে ব্যবসার সহজিকরণ সূচকে যেকোনো মূল্যে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে চাহিদার ভিত্তিতে পেশাভিত্তিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে কর্ম ও পেশার আদর্শমান এবং পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু ‍মুনশি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে করণী নির্ধারণে আমার নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। খুব শিগগিরই এ টাস্কফোর্স বৈঠকে বসবে। সেখানে এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত যতগুলো প্রস্তাব পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। তারপর প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ সুবিধা গ্রহণের জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ দেরি করে ফেলেছি। তারপরও সরকার এ বিষয়ে অনেক কাজ করছে। এটাও কোনো অংশে কম নয়।’

এমইউএইচ/এমএআর/এমএস