শুটিংয়ের টাকা না দিয়ে মারধর করার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন জুনিয়র আর্টিস্ট নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। জুনিয়র মিশার অভিযোগ করেছেন হিরো আলমের সিনেমায় ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে অভিনয় করে মাত্র ৫০০টাকা পেয়েছেন তিনি।
এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন হিরো আলম। তার বিরুদ্ধে জুনিয়র মিশার তোলা অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি।
হিরো আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বলতে ইচ্ছে করে না। এক বছর আগে নয়ন আমার ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে অভিনয় করেছে। মাত্র একটা দৃশ্যে অভিনয় করেছে সে। শুটিং করেছে একদিন।
Advertisement
এক বছর পরে সে কোন হিসাবে টাকা চাচ্ছে আমি বুঝলাম না। একটা ফাইটিং দৃশ্যে অভিনয় করেছে। এমন দৃশ্য অভিনয় করার জন্য আমরা খুব বেশি হলে এক থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে থাকি। এতো দিন পরে কেনো টাকা দাবি করছে সেটা আমারও প্রশ্ন!
এই মামলার পেছনো অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাকে অপমান করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। আমাকে নিয়ে কিছু করলেই এখন খুব সহজে ভাইরাল হওয়া যায়। এই কারণেও আমার পেছনে লাগতে পারে।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘সে বলছে আমার কাছে টাকা চাইতে এলে তাকে মারধর করি! কোথায় কী কারণে মারধর করেছি কি না এটা তো দেখেছে সেখানকার লোকজন।
সম্প্রতি চিকন আলীর সঙ্গে ভিডিওতে আমাকে অনেক গালি গালাজ করেছে আমাকে। সেগুলো এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। এতদিন পর আমার পেছনে লেগেছে আমার সম্মানহানি করার জন্য তাকে ইন্ধন যোগাচ্ছে চিকন আলী ও আরো কিছু লোকজন।’
Advertisement
বেশ কিছুদিন ধরেই নানা কারনে আলোচনায় হিরো আলম। সম্প্রতি অনন্ত জলিলের সিনেমায় কাজ করা নিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন হিরো আলম। অনন্ত জলিলের সিনেমায় কাজ করার জন্য হিরো আলমের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী হিরো আলমকে সাইনিং মানিও দেন অনন্ত।
তবে পরবর্তীতে আচরণগত কারণ দেখিয়ে হিরো আলমকে সিনেমা থেকে বাদ দেন ঢাকাই সিনেমার এ সুপারস্টার। এই নিয়ে হিরো আলমের হয়ে ভিডিও বার্তা দেন বিতর্কিত প্রবাসী সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা। এই নিয়ে পাল্টাপাল্টি ভিডিও দেন অনন্ত জলিলও। যদিও শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন সেফুদা। এসব আলোচনার মধ্যে এবার নতুন করে যোগ হলো জুনিয়র মিশার মামলা।
এমএবি/এলএ/জেআইএম