জাতীয়

করোনায় মৃত্যুর তালিকায় আরও ৩৫ জন

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যোগ হয়েছেন আরও ৩৫ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৮৩৬ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৫৪৮ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনে।

Advertisement

করোনাভাইরাস বিষয়ে শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৩৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ২৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৯১ হাজার ৩৪টি। নতুন পরীক্ষা করা নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে দুই হাজার ৫৪৮ জনের। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১৮ হাজার ৬৫৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৮৩৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৬৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২০ হাজার ৯৭৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পুরুষ ২৮ জন এবং নারী সাতজন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী তিনজন, ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং শতবর্ষী একজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, খুলনা বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের চারজন, রংপুর বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের তিনজন এবং রাজশাহী বিভাগের ছিলেন একজন।

Advertisement

গতকালের তথ্যগতকাল বৃহস্পতিবারের (২৩ জুলাই) বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অর্ধশত মৃত্যু হয়েছে। আর ১২ হাজার ৩৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় আরও দুই হাজার ৮৫৬ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু—উভয়ই কমেছে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে। শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হারশুক্রবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বুলেটিনে প্রতিদিনের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৩৬ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৯৫ লাখের মতো রোগী। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

Advertisement

এমইউ/এইচএ/পিআর