পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জীবাণু অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলছে চীন। প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খবর প্রচার করে বলছে, ভারতকে কোণঠাসা করতেই প্রতিবেশী দুই প্রতিপক্ষ চীন ও পাকিস্তান এমন অস্ত্র তৈরি করছে।
Advertisement
দ্য ক্ল্যাক্সন নামক ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারত ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যহারের জন্য জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে অ্যানথ্রাক্সসহ বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে পাকিস্তান ও চীন। দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে গোপন চুক্তিও হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক গবেষণা শাখা ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশনের (ডিইএসটিও) সঙ্গে গোপনে ওই চুক্তিটি করেছে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি (চীনা এই ভাইরাস গবেষণাগার থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে)।
প্রতিবেদনে অ্যান্টনি ক্লান দাবি করেছেন, মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগ ও করোনার মতো সদ্য আবিষ্কৃত ভাইরাসগুলোকে নিয়ে গবেষণা করছে পাকিস্তান ও চীনের সামরিক বাহিনী। জীবাণুগুলো নিয়ন্ত্রণে এনে কীভাবে তা শত্রু দেশের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়েই মূলত গবেষণা চালানো হচ্ছে।
Advertisement
তিনি দাবি করেছেন, সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়টি হলো এই যে, মহামারি করোনাভাইরাস আবহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক চাপের ভয়ে অন্য দেশে গোপনে জীবাণু অস্ত্রগুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারে চীন। কেননা এখন এমনটা হলেও সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য সরাসরি বেইজিংকে দায়ী করতে পারবে না কেউই।
সূত্রের বরাতে পত্রিকাটির দাবি, জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস সরবরাহ করেছে উহানের ভাইরাস গবেষণাগার। এর মধ্যে সবচেয়ে ঘাতক হচ্ছে ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (অ্যানথ্রাক্স) ও অ্যাসিলাস থুরিংজিয়েনিসিস (অ্যানথ্রাক্স-এর সঙ্গে মিল থাকা) নামের দুটি জীবাণু।
জীবাণুগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রয়োজনে গবেষণাগারে আরও বেশি করে তৈরি করা যায় ইসলামাবাদকে বেইজিং সেসব প্রযুক্তিও সরবরাহ করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ও চীন কোনো দেশেরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেই ওই প্রতিবেদনে।
এসএ/এমএস
Advertisement