রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে আরও ছয়জন বাড়ি ফিরেছেন। করোনামুক্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ওই ছয়জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ২৬০ জন সুস্থ হয়ে এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই হাসপাতালে সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫২ এবং মৃত্যু হার ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
Advertisement
ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এসএম নূরুন নবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ছাড়পত্রপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার সাদ মন্ডল (৫২) ও সাইদুর (৬৫), জয়পুরহাট জেলার মহিউদ্দিন (৩১), রংপুর শহরের আখতারুজ্জামান (৫৮) ও আতাউর রহমান (৩৯) এবং রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সহিদুল ইসলাম ( ৫৮)। বিদায় নেয়ার সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসকরা তাদেরকে ফুল ও চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ডা. এসএম নূরুন নবী জানান, শাদ মন্ডল গত ১২ জুলাই, মহিউদ্দিন ও আতাউর ১৩ জুলাই, আখতারুজ্জামান ও সাইদুর ১৪ জুলাই এবং সহিদুল ১৭ জুলাই ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেসন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এই ছয়জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ না থাকায় এবং নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৬০ জন এই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলেন।
Advertisement
এদিকে বুধবার (২২ জুলাই) বিকেল ৫টায় ইসহাক আলী (৬২) ও রাত ১২টায় মাওলানা আনসার আলী (৬৫) নামে দুইজন করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইসহাক আলী ঠাকুরগাঁও জেলার ও আনসার আলী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার বাসিন্দা। ইসহাক গত ২১ জুলাই ও আনসার আলী ২২ জুলাই মুমূর্ষু অবস্থায় ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১ জনে।
বর্তমানে হাসপাতালে ৩৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান ডা. এসএম নূরুন নবী।
জিতু কবীর/এফএ/এমএস
Advertisement