করোনা রোধে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। সব দেশেই চলছে নিরন্তর প্রচেষ্টা। কে আগে ভ্যাকসিন আনছে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ভারত। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু করেছে ভারত। ভারত বায়োটেকের ‘কো-ভ্যাকসিন’-এর পাশাপাশি আরও একাধিক সংস্থা এ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
জানা গেছে, ভারতের মোট সাতটি সংস্থা রয়েছে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে -ভারত বায়োটেক, সিরাম ইনস্টিটিউট, জাইডাস ক্যাডিলা, পানাসিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মাইনভ্যাক্স, বায়োলজিক্যাল-ই।
১. ‘ভারত বায়োটেক’ হায়দরাবাদের বিখ্যাত এ কোম্পানিটি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে রয়েছে সবার প্রথমে। গত সপ্তাহ থেকেই বায়োটেক তাদের তৈরি কো-ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভারত বায়োটেককে কো-ভ্যাকসিনের ফেজ-ওয়ান এবং ফেজ-টুর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
২. ‘সিরাম ইনস্টিটিউট’তৈরি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ফেজ- থ্রি ট্রায়ালের প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অগস্টের মধ্যেই শুরু হবে এর হিউম্যান ট্রায়াল। করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক এই সংস্থাটি আশাবাদী চলতি বছরের শেষ অথবা ২০২১ সালের শুরুতেই তাদের ভ্যাকসিন বাজারে পৌঁছাবে।
Advertisement
৩. ‘জাইড্যাস ক্যাডিলা’ কোম্পানির প্রধান জানিয়েছেন, আগামী সাত মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যালি হিউম্যান ট্রায়াল সম্পন্ন হবে। তাদের তৈরি প্রতিষেধক গত সপ্তাহ থেকেই মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
৪. ‘পানাসিয়া বায়োটেক’ এর তৈরি করোনার প্রতিষেধকের এখনও নামকরণ করা হয়নি। তবে এই সংস্থা আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নেমেছে। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই পানাসিয়া কোম্পানির তৈরি প্রায় ৪০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আসবে।
৫. ‘ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস’ এটি জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের একটি সহায়ক সংস্থা। এ কোম্পানিটি অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে। তারা যৌথ উদ্যোগে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
৬. ‘মাইনভ্যাক্স’ সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে মাইনভ্যাক্সের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এই সংস্থা প্রাথমিকভাবে দুই ডজন ডোজ তৈরি করবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন প্রাক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে।
Advertisement
৭. ‘বায়োলজিক্যাল-ই’ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দৌড়ে সপ্তম তথা সর্বশেষ এ কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনও বর্তমানে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা চলে লাগামছাড়া সংক্রমণের চেন ভাঙতে দ্রুত প্রতিষেধক আবিষ্কারে বদ্ধপরিকর ভারতীয় এই সংস্থাগুলো।
এএইচ/এমএস