করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উগান্ডায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
Advertisement
গত মার্চে দেশটিতে প্রথম করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হলেও এতদিন পর্যন্ত সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো প্রাণহানি ঘটেনি।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের বেশি। এর মধ্যে সম্প্রতি একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, উগান্ডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৭১ জন। অর্থাৎ দেশটিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারও অনেক পরে উগান্ডায় হানা দেয় করোনা।
বিশ্বের অনেক শক্তিধর দেশও যখন করোনার কাছে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তখন অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে উগান্ডা।
করোনা মহামারি সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়ার পর পরই এ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল উগান্ডা। দেশের রাস্তা-ঘাট, হাসপাতাল, শপিংমল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
শুরুতেই দেশটিতে সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। দেশের সীমান্ত, বিমানবন্দর সিল করে ফেলা হয়। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় নিজ দেশের ও অন্যান্য ১৬ দেশের নাগরিকদের ওপর।
Advertisement
ধর্মীয় নেতাদের টিভি ও রেডিও স্টেশন ব্যবহার করে ধর্ম প্রচারের সুযোগ রাখা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তার দাফনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার। এছাড়া, মানুষের চলাচল সীমিত করাসহ প্রতিটি বাসস্টপে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
টিটিএন