সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি গোপন নথি প্রকাশ পেয়েছে। নথিটি ২০১৮ সালের। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রশিক্ষিত জনবলের ঘাটতির কারণে চীনের উহান শহরের ভাইরাস গবেষণাগার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেখানে নিযুক্ত মার্কিন দূতবাসের কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে ওই শহর থেকেই করোনার প্রাদুর্ভাব হয়।
Advertisement
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের অনলাইন প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, ওই নথি প্রকাশ পাওয়ার আগে গত এপ্রিল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করে আসছিলেন, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজিতে দুর্ঘটনার কারণেই মহামারি কারোনার বিস্তার ঘটেছে।
গত মে মাসে ট্রাম্প বলেন, এমন কিছু প্রমাণপত্র তিনি দেখতে পেয়েছেন যাতে করে চীনের গবেষণাগার থেকেই যে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে এমন তথ্য বিশ্বাসে তাকে সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। তবে তার এতটা বিশ্বাস কেন হলো প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারবো না ‘
ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর ওয়াশিংটন পোস্ট তথ্য অধিকার আইনে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হলেও পররাষ্ট্র দফতর কোনো তথ্য না দেওয়ার পর প্রত্রিকাটির পক্ষ থেকে এ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে এখনো পররাষ্ট্র দফতর আনুষ্ঠানিকভাবে নথিটি প্রকাশ করেনি।
Advertisement
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নথির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ২০১৮ সালে গবেষণাগারটি পরিদর্শন শেষে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই উচ্চ-নিয়ন্ত্রণের গবেষণাগারটি নিরাপদে পরিচালনার জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ ও তদন্তকারীদের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে।’
নথি অনুযায়ী, উহানের গবেষণাগারের যে চিত্র সামনে এসেছে, তাতে করে সেখান থেকেই করোনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্স প্রাকৃতিক না বলে দাবি অনেকের। এ নিয়ে এখানো গবেষণা চলছে। তবে এটা নিশ্চিত না যে সেখান থেকেই ছড়িয়েছে আবার তা বাতিল করাও যায় না।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement