ওমানে অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমার আবেদনের মেয়াদ বুধবার থেকে শেষ হলেও এখনো কমপক্ষে ৭ হাজার তিন শ` বাংলাদেশি এ সুযোগ গ্রহণ করেননি। গত ছয় মাসে দেশটিতে ২৩ হাজার ১৮৬ জন বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিক সাধারণ ক্ষমার জন্য নিবন্ধন করলেও ওই ৭ হাজার শ্রমিক তা এড়িয়ে গেছেন। ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার টাইমস অব ওমান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, ২৩ হাজার ১৮৬ অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে রাজধানী মাস্কট থেকে ১৪ হাজার ৩০১ জন এবং সালালাহ থেকে কমপক্ষে এক হাজার শ্রমিক সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে ওমান ছেড়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০ জনের কাগজপত্র প্রস্তুত হয়েছে। তবে ওই ৭ হাজার তিন শ` শ্রমিক নিবন্ধনের পর আর কোনো যোগাযোগ করেননি। এর আগে, চলতি বছরের ৩ মে দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ শ্রমিকদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বুধবার এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্যান্য বছর সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ তিন মাস থাকলেও বেশি শ্রমিকের নিবন্ধনের সুযোগ দিতে এ বছর এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি বিভিন্ন এলাকায় বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশিরা যেসব স্থানে রয়েছেন তাদের মাধ্যমে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি। তবে গত বছর যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল তার তুলনায় এবারের কর্মসূচি বেশ সফল বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশি সমাজকর্মী মোহাম্মদ সানাউল্লাহ টাইমস অব ওমানকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে আমাদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বার্তা পৌঁছে দিয়েছি যে, যেসব শ্রমিকের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই বা যারা ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় ধরে ওমানে রয়েছেন তাদেরকে এ ক্ষমার সুযোগ নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশি এ সুযোগ গ্রহণ করেননি। ওমানের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক মহাপরিচালক সালেম সাইদ আল বাদি বলেন, অবৈধ শ্রমিক যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই তাদের এ সাধারণ ক্ষমার সুযোগ ব্যবহার করা উচিত। কেননা পরবর্তীতে যদি কাউকে আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে ধরা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এশিয়ার চারটি দেশ থেকে ওমানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার অবৈধ শ্রমিক রয়েছে।এসআইএস/এমএস
Advertisement