রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় মনোরম দৃশ্যমাখা গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে উঠেছে অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি রিসোর্ট। এখানে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের আনাগোনা থাকে সব সময়। রাজধানীসহ দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গাজীপুরের রিসোর্টগুলো। জাগো নিউজের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ তুলে ধরা হলো নক্ষত্রবাড়ী। সুযোগ পেলে একটু ঘুরে আসলে ক্ষতি কী? প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে চাইলে আপনিও নক্ষত্রবাড়ী চলে আসতে পারেন।নক্ষত্রবাড়ীগাজীপুরে অবস্থিত বেসরকারি রিসোর্টগুলোর মধ্যে সৌন্দর্যমন্ডিত ‘নক্ষত্রবাড়ী’। নক্ষত্রবাড়ী প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও অতি জনপ্রিয় নাম। প্রতিষ্ঠাতাঢাকার খুব কাছে একটি রিসোর্ট বানানোর কথা চিন্তা করেন অভিনেতা তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত দম্পতি। সে চিন্তা থেকেই প্রকৃতিপ্রেমীদের সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ নক্ষত্রবাড়ী রিসোর্ট।অবস্থাননক্ষত্রবাড়ী রিসোর্টটি গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত। এটি ১৪ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় নক্ষত্রবাড়ীর। বৈশিষ্ট্য নক্ষত্রবাড়ীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- পুকুরের পানির ওপর কাঠ-বাঁশের সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি কটেজ। এখানে বসে শোনা যায় ব্যাঙ ও ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, জোনাকির আলো ছড়ানো টিপটিপ বাতি জ্বলা-নিভা। পুকুরের পশ্চিম পাশের পানির ওপর গজারি গাছ দিয়ে নির্মিত এসব কটেজ। কটেজগুলোর ওপর রয়েছে ছনের ছাউনি। পুকুরের পূর্ব পাশে ব্রিটিশ আমলের দরজা-জানালা সম্বলিত একটি ঘর রয়েছে। একটু পূর্বে রয়েছে সুইমিং পুল। রয়েছে আরও একটি বিল্ডিং কটেজ। রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি রয়েছে। অতিথিসেবাএখানে সার্বক্ষণিক ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা সব সময় অতিথিদের সেবায় ব্যস্ত থাকেন। নক্ষত্রবাড়ী কর্তৃপক্ষ সব সময়ই অতিথিদের সব ধরনের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেন।খাবার রিসোর্টেই রয়েছে খাবার হোটেল। আর এই হোটেলে রয়েছে বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাই ও কন্টিনেন্টাল খাবার। প্রবেশ মূল্যদর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা।ভাড়াপানির ওপর কটেজগুলো ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা। বিল্ডিং কটেজের ভাড়া কাপলবেড ৮ হাজার ২২২ টাকা এবং টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা।কীভাবে যাবেননিজস্ব পরিবহন বা যাত্রীবাহী বাসে করে গাজীপুর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা-কাপাসিয়া মহাসড়কের রাজাবাড়ী বাজারে নামতে হবে। পরে রাজাবাড়ী বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে চিনাশুখানিয়া গ্রামের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় নক্ষত্রবাড়ীর অবস্থান, যা কাপাসিয়া-শ্রীপুরের সীমানা বেষ্টিত এলাকা।এসইউ/এমএস
Advertisement