করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের প্রতারণার মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে, সাহেদকে হস্তান্তর করা হয়েছে র্যাবের কাছে।
Advertisement
র্যাব কর্তৃক আবেদনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার আসামি সাহেদকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর র্যাব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ১৭ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে। র্যাবের দায়ের করা মামলাটি প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানা এবং পরে অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত মঙ্গলবার সাহেদ করিমের মামলার তদন্ত করার জন্য র্যাবকে দায়িত্বভার দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার নথিপত্রসহ আসামি সাহেদকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে গত বুধবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে র্যাব। তবে সাহেদকে নিয়ে অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করবে ডিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘সাহেদকে গ্রেফতারের পর থেকে কাজ শুরু করেছে র্যাব। তবে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমরা ডিবি তদন্ত করছি। (সাহেদ) পাঁচদিন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিল। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি।’
‘সাহেদ গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযানে উদ্ধার অস্ত্র কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কি-না’-এমন প্রশ্নে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘অস্ত্রটি কোথাও ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি। মাঝে মাঝে অপরাধীরা বৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি অপরাধ আড়াল করতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।’
Advertisement
কী পরিমাণ করোনার নমুনা পরীক্ষায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা করেছে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমরা তদন্তে জানতে পেরেছি রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার করোনার রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছিল। সাড়ে পাঁচ হাজার রিপোর্টই যে গরমিল ছিল সেটা বলা যাবে না। যে সার্টিফিকেটের মধ্যে একজন ব্যক্তি করোনা পজিটিভ না হয়েও পজিটিভ দেয়া হয়েছে কিংবা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে কিন্তু অনুমান করে বলা হয়েছে পজিটিভ, সেগুলো প্রতারণার প্রমাণের জন্য কালেক্ট করতে হবে। সে প্রক্রিয়া চলছে।’
জেইউ/এসআর/পিআর