চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এক দেশ অপর দেশের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট হঠাৎ করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন সরকার। এর পাল্টা জবাবে হংকং এবং ম্যাকাওয়ে মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের দাবি উঠেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস মার্কিন সরকারের এ পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া’ এবং ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের পরিচালিত একটি অনলাইন ভোটিংয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ মতামত দিয়েছে।
তাদের ৬৫ শতাংশই বলছে হংকং এবং ম্যাকাওতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত মতামতকে সাধারণত চীনা সরকারের মতামত হিসাবেই গ্রহণ করা হয়।
Advertisement
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, কোনো কারণ ছাড়াই হিউস্টনে একতরফাভাবে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা।
ওই মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিৎ দ্রুত এই ভুল সংশোধন করা। তা না করা হলে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গ্লোবাল টাইমস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ নজিরবিহীন এবং চীন-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কে এটি ‘ভূমিকম্প’ সৃষ্টি করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কনস্যুলেট বন্ধে মার্কিন সরকারের হঠাৎ নেয়া এ সিদ্ধান্ত বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের চলমান টানাপোড়েনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করবে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। অফিস গুটিয়ে নেয়ার আগে চীনা কর্মকর্তারা নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টিটিএন