বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের এক উপস্থাপিকার আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করে সম্মানহানির অভিযোগে করা মামলায় ওই টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইমরান হোসেন সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বুধবার (২২ জুলাই) একদিনের রিমান্ড শেষে সুমনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিমের পরিদর্শক কাজী মো. নাসিরুল আমীন।
অপরদিকে তার আইনজীবী তুহিন হাওলাদার জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষ ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (২০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রোববার (১৯ জুলাই) রাতে হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইমইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
Advertisement
ডিবির উপ-কমিশনার (ডিসি-সিরিয়াস ক্রাইম) মীর মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, এটিএন নিউজের এক সহকর্মীর করা মামলায় আমরা একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছিলাম। সেই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইমরান হোসেন সুমনের নাম উঠে আসে।
আপত্তিকর অশ্লীল ছবি প্রকাশ করায় ১২ জুলাই ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (৩) ও ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯ ধারা দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৩ মে ওই উপস্থাপিকার স্বামীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন আইডি থেকে আপত্তিকর এসএমএস করে তার বিষয়ে খারাপ মন্তব্য করেন, যা দেখে তার স্বামীর মনমানসিকতা খারাপ হয়ে যায়। একপর্যায়ে তার স্বামী বিষয়গুলো শেয়ার করেন। পরে ওই উপস্থাপিকা বিষয়টি নিয়ে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু ডায়েরি করার পরও অজ্ঞাত বিবাদীরা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে তার নামে স্বামী, দেবর, মাকে বিভিন্ন আপত্তিকর এসএমএস ও ছবি পাঠাতে থাকেন।
ওই উপস্থাপিকা বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার পরিচয় গোপন করে আমার স্বামীর ছবি ব্যবহারপূর্বক ফেক আইডি প্রস্তুত করে ইলেক্ট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে সম্মানহানি করেছে।
Advertisement
জেএ/এমএসএইচ/এমএস