লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এলাকাভিত্তিক দুস্থ মানুষের জন্য কমিউনিটি রেস্টুরেন্ট চালু করল বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এখন থেকে আর বিত্তহীন মানুষগুলোকে খাবারের জন্য ঘুরতে হবে না দুয়ারে দুয়ারে। তেমনি যেকোনো মুহূর্তে বিত্তবানদেরও পড়তে হবে না সাহায্যপ্রার্থীর সামনে। পড়তে হবে না বিব্রতকর অবস্থায়।
Advertisement
বিদ্যানন্দ জানায়, একজন মানুষকে এক প্যাকেট খাবার দেওয়ার চেয়ে এক প্লেট খাবার বসে খেতে দেওয়ার মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি আছে। এমন অনুভূতি দিতেই বিদ্যানন্দের এ মেহমানখানা। গত ১৭ জুলাই থেকে পুরান ঢাকার খান হোটেলে অসচ্ছল মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যানন্দের এ মেহমানখানায় রুটি, ডিম ভাজি, মুরগি ও মুগ ডাল পরিবেশন করা হয়। এ আয়োজন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। আগামী এক মাস এ আয়োজন চলবে। ক্ষুধার্তরা প্রত্যেকেই হোটেলের পাত্রে তাদের প্রয়োজনমতো খাবার তুলে নিতে পারবেন।
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক আরিফ মাহাদি জানান, কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে মেহমানখানা শুরু হয়েছে। প্রথমত, বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার ছোটবেলায় এমন সব রেস্তোরাঁর পাশ দিয়ে যেতেন। তখন টাকার অভাবে না খেতে পেরে চলে যেতেন। তার স্বপ্ন ছিল এমন এক রেস্তোরাঁ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।
Advertisement
তিনি আরও জানান, এবার করোনা দুর্যোগের কারণে দেশের অনেক মানুষই কোরবানি করতে পারবে না। সে জন্য কোরবানির সাত দিন বিশাল আয়োজন থাকবে এ হোটেলে। এখানে মানুষ এসে যত খুশি খেয়ে যেতে পারবে বিনা মূল্যে। ইতোমধ্যে বিদ্যানন্দের মেহমানখানা মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এসইউ/এএ/এমএস