অর্থনীতি

চামড়া সংরক্ষণ প্রক্রিয়াজাতকরণে শিশুদের নিয়োগ দিলে ব্যবস্থা

ঈদুল-উল-আজহার পর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যেন শিশুদের নিয়োগ না করা হয় তা মনিটরিং করবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নিয়োগ দিলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমবারের মতো কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। বুধবার (২২ জুলাই) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে ঈদ-উল-আজহার পর কাঁচা চামড়া বহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের কাজে শিশুদের নিযুক্ত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করার কারণে এবং চামড়া শিল্পের পরিবেশটি অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

সরকার ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকাতেও চামড়া শিল্পের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে ট্যানারি শিল্পসহ অন্য কোথাও চামড়া পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের কাজে যেন শিশুদের নিযুক্ত করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হলো।

Advertisement

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার ২০১৩ সালে ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ৩৮টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোনো শিশুকে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় জানান, ট্যানারি এবং চামড়াজাত শিল্পকে শতভাগ শিশুশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। এটি অব্যাহত রাখার জন্য চামড়াজাত শিল্পে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিজাতকরণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের কেউ যাতে নিয়োগ না করে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পরিদর্শকরা নিবিড় পরিদর্শনে থাকবেন মর্মে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া করা হবে।

এমইউএইচ/এনএফ/এমকেএইচ

Advertisement