কক্সবাজারের ইনানী পাথুরে বিচ এলাকায় যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে পর্যটন পরিবেশ ও ঘটছে সৌন্দর্যহানি। ব্যবসার নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় অসাধু সুবিধাভোগীরা রাতারাতি কাঁচা স্থাপনা তৈরি করে তা মোটা অংকের টাকায় হস্তান্তর করছে। অব্যাহত দখল প্রবণতা ও যত্রতত্র গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার কারণে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের উপর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন পর্যটকরা।বিচ সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রশাসনের পূর্ব নির্ধারিত মাশরুম মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হলে পর্যটনের ক্ষেত্র আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে ইনানী বিচের গ্রহণযোগ্যতা।সম্প্রতি ইনানী ঘুরে স্থানীয় বিচ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিচে আসা পর্যটকদের ব্যবহৃত গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত জায়গার উপরে যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। ফলে গাড়ি পার্কিংয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে পর্যটকরা তাদের ব্যবহৃত যানবাহনগুলো মেরিন ড্রাইভ সড়কের বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করছে। সড়কের উপর এলোমেলো গাড়ি রাখার কারণে যাত্রীবাহীসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ইনানী বিচ ইজারাদার অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো অভিযোগ করেন, মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে বিচের সামঞ্জস্য না থাকায় পর্যটকদের সুবিধার্থে বিচে ওঠা-নামার জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাড়ি পার্কিংয়ের পূর্ব নির্ধারিত জায়গাটি অবৈধ ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো সেখানে নামতে পারছে না। ফলে মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপর আড়াআড়িভাবে গাড়ি রাখা হচ্ছে। পর্যটকদের বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ত্বরাণ্বিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।ইনানী বহুমুখী ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ছৈয়দ হোছাইন এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার এক শ্রেণির লোভী রাতারাতি ঝুপড়ি তৈরি করে, তা মোটা অংকের টাকায় হাতবদল করার ধারাবাহিকতায় ইনানী বিচের সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে।তিনি জানান, ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান নিয়ে কিছু টোকাই শ্রেণির বখাটে দুর্বৃত্ত পর্যটকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে বিচের সৌন্দর্য রক্ষা ও পর্যটকদের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় একটি মাশরুম মার্কেটসহ চেঞ্জিং রুম ও টয়লেট নির্মাণের দাবি জানান তিনিসহ অন্য ব্যবসায়ীরা।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইনানী বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ইনানীর পর্যটন পরিবেশকে আরো উন্নত করার সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।সায়ীদ আলমগীর/বিএ
Advertisement