কালুরঘাট সেতু সংস্কারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ এনেছেন সেলিম চৌধুরী নামের এক আইনজীবী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর জনস্বার্থে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের অনুলিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক বরাবরও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেলিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু মেরামতের জন্য ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি কনস্ট্রাকশন ১৩ জুলাই রাত থেকে সংস্কারের জন্য এই সেতু বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ১৯ জুলাই পর্যন্ত কোনো কাজ করা হয়নি। ২০ জুলাই সামান্য কিছু কাজ হয়। সামান্য এই কাজে ব্যয় হয়েছে বড়জোর ৫-৭ লাখ টাকা।
Advertisement
ফলে বাকি টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের যোগসাজশে আত্মসাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পত্রিকায় যাতায়াত বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। অথচ সেখানে দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি। বরং এই বিজ্ঞপ্তির কারণে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবুক্তগীন বলেন, এখনও কাজ চলমান। এছাড়া কোনো অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে সংস্কার-কাজের জন্য ১৩ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ১১ রাত জরাজীর্ণ কালুরঘাট ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আবু আজাদ/এমএআর/এমএস