জাতীয়

সাহেদের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল র‍্যাব

করোনা চিকিৎসায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের প্রতারণার মামলার তদন্তভার র‍্যাবকে দেয়া হয়েছে। এতদিন মামলার তদন্ত করছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সাহেদ করিমের মামলার তদন্ত করার জন্য র‍্যাবকে দায়িত্বভার দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর র‌্যাব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ১৭ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার তদন্তভার র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে।

র‍্যাবের দায়ের করা মামলাটি উত্তরা পশ্চিম থানা এবং পরে অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তভার র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে।

Advertisement

এর আগে ১৯ জুলাই র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাহেদ ও রিজেন্ট সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার নেয়ার জন্য র‍্যাব পুলিশ সদরদফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে র‍্যাব তদন্তভার নেবে। যেহেতু র‍্যাব শুরু থেকেই এই মামলায় তদন্ত করছিল, এরই ধারাবাহিকতায় আমরা তদন্তের কাজ করার জন্য আবেদন করেছি।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে পালাতক ছিলেন সাহেদ।

তবে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন ১৬ জুলাই সাহেদ এবং রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

এআর/এইচএ/এমএস

Advertisement