বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভারত, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় ‘বুদ্ধিস্ট ট্যুরিজম সার্কিট’- এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ এক লাখ বৌদ্ধ ধর্মীয় পর্যটককে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা বছরে মাত্র তিনলাখ বৌদ্ধ পর্যটক পাচ্ছি। এই সংখ্যা আমরা রাতারাতি বৃদ্ধি করতে পারবো না। তবে, আমরা এক লাখ বৌদ্ধ পর্যটক পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশে বৌদ্ধ পর্যটন বিষয়ক দু’দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।ভারতের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দুই লাখ ২৫ হাজার পর্যটক ভারতের গয়া, দুই লাখেরও বেশি বুদ্ধগয়া, এক লাখ ২৫ হাজার নালন্দা ভ্রমণ করেছেন। অন্যদিকে, এক লাখ ২৫ হাজার পর্যটক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লুম্বিনি এবং সাড়ে তিন লাখ পর্যটক মিয়ানমার ভ্রমণ করেছেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে এই প্রথম আয়োজিত বুদ্ধিস্ট পর্যটন সার্কিট উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান ও ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব ড. তালেব রিফাই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী। মন্ত্রীবৃন্দ, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।আয়োজক বাংলাদেশসহ বৌদ্ধ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ১৩টি দেশ- চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বের পর্যটন বাজারের কাছে বাংলাদেশের পর্যটনের বিকাশের ব্যাপারে এ দেশের সরকারের প্রতিশ্রুতি ও আন্তরিকতাই তুলে ধরছে।তিনি বলেন, সরকার পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় ও ময়নামতিসহ ৫০০টি বৌদ্ধ ধর্মীয় পর্যটন স্থাপনায় অবকাঠামো উন্নয়নসহ পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির কাজ শুরু করবে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছে কারিগরি সহায়তা চাইবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার বৌদ্ধ ধর্মীয় পর্যটন বিশেষজ্ঞ লুডউইগ জি রেইডার এবং টোয়াব- এর পরিচালক মাসুদ হোসেন।বিএ
Advertisement