জাতীয়

কারওয়ান বাজারে পানিতে ভাসছে কুমড়া-কলা-বেগুন

টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির হওয়ায় ক্রেতারা বাজারে আসতে পারছেন না। ফলে দুই দিন ধরে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এদিকে বিক্রি না হওয়ায় শাকসবজিতে পচন ধরেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের সামনে যেতেই দেখা যায়, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচকলা, বেগুন, লাউ ও পটলসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি পানিতে ভাসছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী পানি থেকে সেগুলো রক্ষা করতে ইট পেতে উঁচু করে, ঝুড়িতে রেখে কিংবা ভ্যানের তুলে রক্ষা করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, গতকালের বৃষ্টিতে রাস্তার পানি আড়তে ঢুকে পড়ে। ফলে ক্রেতারা বাজারে আসতে পারছেন না। এই বৃষ্টিতে তাদের বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান হয়েছে।

আনিস মন্ডল নামে একজন পাইকারি বিক্রেতা জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাকসবজি ও অন্যান্য কাঁচামাল রাতে ট্রাক থেকে রাস্তায় নামিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তারা আড়তে তুলে তা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু গতকাল মাল নামিয়ে রাখার পর সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে মালামাল পানিতে তলিয়ে যায়। এতে তাদের অনেক টাকার মালামাল অবিক্রিত ও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে ভ্যানের উপর পটল, পেঁপে, ঢেড়শ ও লাউ বিক্রি করছিলেন সানোয়ার আলী। তিনি জানান, গতকাল তিনি ১০ হাজার টাকার বিভিন্ন শাকসবজি বিক্রির জন্য আড়ত থেকে কিনেছিলেন। সাধারণত ভোরে পণ্য কিনে বেলা ১১টার মধ্যেই বেচাকেনা শেষ করেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ টাকার শাকসবজি বিক্রি করেছেন।

পানির ওপর টুকরিতে (ঝুড়ি) রাখা অন্যান্য কাঁচামাল দেখিয়ে সানোয়ার আলী বলেন, আজকের মধ্যে বিক্রি করতে না পারলে এগুলো পচে যাবে। এতে অনেক টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।

সেকান্দার নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় পানিতে ডুবে আছে শত শত কলা। ক্রেতা নেই, এগুলো সরিয়ে কোথাও নিয়ে রাখবো সে উপায়ও নেই। করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এমনিতেই খারাপ, এখন আবার বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে।

এমইউ/এমএসএইচ/পিআর

Advertisement