‘সারা বছর কী কাজ করলো? রাস্তা খুঁড়ে মোটা মোটা পাইপ বসালো। ভাবছিলাম যতই বৃষ্টি হোক, এবার মনে হয় নিউমার্কেটের সামনের রাস্তা আর ডুববো না। গতকালও মনে করছিলাম টানা বৃষ্টির কারণে হয়তো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ছে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু! আজও বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেল। দেখেন ডাস্টবিনের ময়লা কেমনে পানিতে ভাসছে। এখন নিয়তি মেনে নেয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে।’
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের অদূরে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসনাত তার পরিচিত একজনকে এসব কথা বলছিলেন। সামনে তাকাতেই দেখা গেল, নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের অদূরে স্থাপিত বড় ডাস্টবিন থেকে ময়লা-আবর্জনা রাস্তার পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে।
গতকালের মতো আজও মানুষ জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে ভ্যানে করে রাস্তা পার হচ্ছে। পানিতে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় সেখানে খেলছে পথশিশুরা। নিম্ন আয়ের মানুষ পরনের কাপড় ভিজিয়েই রাস্তা পার হচ্ছে। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত অন্যান্য যানবাহন দ্রুতগতিতে পানিতে ঢেউ তুলে জলাবদ্ধ জায়গাটুকু পার হওয়ার চেষ্টা করছে।
সাধারণত মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে নিউমার্কেট। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশে গত দুই মাসেরও বেশি সময় মার্কেট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকা, পরবর্তী দুই মাসেও স্বাভাবিক বেচাকেনা না হওয়া এবং সামনে কোরবানির ঈদের কারণে আজ মার্কেট খোলা। কিন্তু গতকাল ও আজ দুদিন মার্কেটের সামনের রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ক্রেতার দেখা নেই।
Advertisement
আজ মার্কেটের ভেতর পানি না ঢুকলেও সামনের এক নম্বর গেটের সামনে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ক্রেতা সমাগম নেই। দুপুর ২টা পর্যন্ত জলাবদ্ধতার পানি এতটুকুুও নামতে দেখা যায়নি।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ঈসমাইল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, করোনার কারণে এমনিতেই বেচাকেনা নেই, এরপর বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হওয়ায় দোকান খোলা রাখলেই ক্রেতা আসতে পারছেন না। এ জলাবদ্ধতা আর কত বছর দেখতে হবে কে জানে!
এমএউ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement