গাছ থেকে নারকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে আলেয়া বেগম (৪৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে জখম করেছে তার স্বামীসহ সৎ সন্তানরা। স্বামী শাহ আলমসহ সৎ ছেলে মো. রহিম, মো. বাবুল ও মেয়ে জোছনা আক্তারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকালে আহত গৃহবধূকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় আহত আলেয়াকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
জানা গেছে, রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে নারকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে কাঁঠাল গাছে বেঁধে আলেয়ার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী ও সৎ সন্তানরা। এতে তার হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়েছে।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে সন্তান না হওয়ায় আলেয়ার আগের সংসার ভেঙে যায়। আলেয়ার মা-বাবা না থাকায় ভাইদের সংসারে গিয়ে ঠাঁই হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে লাহারকান্দির কুতুবপুর গ্রামের বৃদ্ধ শাহ আলমের সঙ্গে আলেয়ার আবার বিয়ে হয়। শাহ আলমের আগের পক্ষের ছেলে-মেয়ে রয়েছে। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি আলেয়াকে বিয়ে করেন।
Advertisement
আলেয়ার ছোট বোন কুসুম বেগম জানান, নির্দয়ভাবে তার বোনকে পেটানো হয়েছে। আহত হলেও হাসপাতালে নেয়া হয়নি। খবর পেয়ে তার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এরআগেও কয়েকবার তার বোনকে পেটানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আলেয়া বেগম জানান, নারকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীসহ সৎ সন্তানরা তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে পরণের শাড়ি দিয়ে কাঁঠাল গাছে বেঁধে তারা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধর করে।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আহত নারীকে দেখতে গিয়েছি। তার স্বজনকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
কাজল কায়েস/এফএ/পিআর