ঈদের পূর্বে উৎসব ভাতা, বকেয়া মজুরি, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্রদান, রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও সুচিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট-সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।
Advertisement
সোমবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট-সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। একই দাবিতে সংগঠনটি দেশব্যাপী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট-সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জয়নাল আবদীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক রহমত আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু, সংগঠনটির সদস্য রাজু আহম্মেদ, জহিরুল ইসলাম বাদল, মো. খোকন, বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সোলেমান মল্লিক প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, একদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি অন্যদিকে মালিকদের অতি মুনাফার লোভের শিকার শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে মৃত্যুর মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যে মালিকদের দুরভিসন্ধি ও অবহেলার শিকার হয়ে শ্রমিকরা রমজানের ঈদ প্রচণ্ড কষ্টে অতিবাহিত করেছে। এখনো ৬০-৭০ ভাগ হোটেল শ্রমিক কর্মহীন হয়ে আছে। কিছু প্রতিষ্ঠান খুললেও যেখানে আগে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করতো সেখানে এখন ১০ জন শ্রমিক দিয়ে সে কাজ করানো হচ্ছে। ১৩-১৪ ঘণ্টা কাজ করিয়ে মজুরি দেয়া হচ্ছে অর্ধেক বা তারও কম। শ্রমিকদের এই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে না কোনো মালিক তাদের সহায়তা করছে, না তারা পাচ্ছেন সরকারি সহায়তা।
Advertisement
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান রাষ্ট্র ও সরকার শ্রমিকদের পক্ষের না হওয়ায় শ্রমিকরা আজ রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই শ্রমিকদের প্রয়োজন তাদের নিজস্ব দাবিতে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা।
বক্তারা হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের ঈদের পূর্বে উৎসব ভাতা, বকেয়া মজুরি, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, কাজ, খাদ্য ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এফএইচ/এমএফ/এমকেএইচ
Advertisement