করোনাভাইরাসের কারণে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ছিল অনেক অনিশ্চিয়তা। অস্ট্রেলিয়ায় আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কি হবে না- তা নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চিয়তা। অন্তত দুই মাস এ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখার পর অবশেষে আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো আইসিসি।
Advertisement
করোনার কারণে এবারের বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেয়া হলো এক বছর। অর্থ্যাৎ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে। এবার ১৮ই অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসি সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১৪ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন ঠিক এক বছর পিছিয়ে দেয়া হলো, তখন প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কি হবে?
আজকের আইসিসির আইবিসি বোর্ডের (আইসিসির কমার্সিয়াল সাবসিডিয়ারি) সভায় পরের দুই বিশ্বকাপ নিয়েও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। করোনার কারণে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং সিরিজ বন্ধ কিংবা স্থগিত হওয়ার কারণে আর্থিকভাবে যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে আইসিসি, সেটা পোষানোর জন্য ২০২৩ পয়েন্ট যে তিনটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেগুলোর সঙ্গে কোনো সমঝোতা করার সুযোগ নেই।
Advertisement
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারতের মাটিতে, জুলাই মাসে। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টও আইসিসি পিছিয়ে দিয়েছে এক বছর। অর্থ্যাৎ, ভারতের ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে। ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে, ঠিক এক বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের একক আয়োজক ভারত। তো ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে একটি বিশ্বকাপ (টি-টোয়েন্টি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলে তার তিন কি চার মাসের মাথায় কি আরও একটি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে?
সে জবাবও আজ আইসিসির আইবিসি বোর্ডের সভায় নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সূচিও পরিবর্তন করা হলো। ফেব্রুয়ারি-মার্চের পরিবর্তে ওই ওয়ানডে বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হবে একই বছর অক্টোবর নভেম্বরে। শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা না হলেও ফাইনালের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ সাল।
তবে মজার বিষয় হলো, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এক বছর করে পিছিয়ে দেয়া হলেও আগের দুই আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত থাকবে কি না তা জানানো হয়নি। আইসিসি হয়তো এই দুই বিশ্বকাপের আয়োজক পরে নির্ধারণ করবে।
Advertisement
একই সঙ্গে আইসিসির কমার্সিয়াল সাবসিডিয়ারি বোর্ড আইবিসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপের বিষয়েও চিন্তিত। তারা আপাতত সময়ক্ষেপন করতে চাচ্ছে। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আইএইচএস/পিআর