৩শ বছর আগে স্থাপিত গালুয়া পাকা মসজিদ ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় অবস্থিত। মসজিদটি রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া মহাসড়কের গালুয়া বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর গ্রামে নির্মিত হয়।
Advertisement
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মাহমুদ খান আকন (মামুজি) নামক এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয়, বাংলা ১১২২ সালে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদের কাছে একটি শিলালিপি পাওয়া যায়। তা থেকে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে ধারণা করা হয়।
লোকমুখে প্রচলিত আছে, মসজিদটি সংস্কার করার সময় ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছিল। তখন বড় বড় বিষধর সাপ এর থেকে বের হয়ে এসেছিল। পরে গালুয়ার মরহুম পীর মাহতাব উদ্দিনের (র.) কথামত একটি অংশ খুলে দিলে সাপগুলো স্থান ত্যাগ করে।
প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক আজিজুল হক বলেন, ‘মসজিদটি প্রায় ৩শ বছর আগে নির্মিত। একটি পরিত্যক্ত শিলাখণ্ডে এর নির্মাণসাল খুঁজে পাওয়া যায়। এর বাজু বেশ প্রশস্ত। মসজিদটি টালি ইটের তৈরি। বর্তমানে মসজিদটি সংস্করণ করা হয়েছে বলে এর ইটগুলো দেখা যায় না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রাক্কালে মসজিদটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হলে স্থানীয় একজন সমাজ হিতৈষীর প্রচেষ্টায় সংস্কার করা হয়। তখন বারান্দার অংশ বর্ধিত করা হয়। ১৯৯৯ সালে সরকার মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় নিয়ে যায়। পরে সরকারি অর্থায়নে সংস্কার করা হয়। মসজিদে এখনো নামাজ পড়া হয়।’
মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/এএ/পিআর