জাতীয়

ডুবে গেছে নিউমার্কেট

রাজধানীর ঐহিত্যবাহী নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের ছোট্ট পকেট গেটের সামনে সোমবার সকাল ১০টার দিকে একটি কাঠের টুল পেতে দাঁড়িয়েছিলেন একজন নিরাপত্তাপ্রহরী। করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে মার্কেটে প্রবেশের আগে জ্বর মাপা ও জীবানুনাশক ঘর দিয়ে মালিক, কর্মচারী ও ক্রেতা, সবাইকে প্রবেশ করতে দেয়াটাই ছিল তার দায়িত্ব।

Advertisement

কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে সামনের রাস্তায় প্রায় কোমর পরিমাণ পানি হওয়ায় প্রধান ফটক বন্ধ রেখে পকেট গেট দিয়ে লোকজন প্রবেশ করাচ্ছিলেন তিনি। মার্কেটে করোনা প্রতিরোধে আগতদের জ্বর মাপার চেয়ে আজ তাকে মার্কেটে পানি প্রবেশ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, নিউমার্কেটের ভেতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। প্রশস্ত হাঁটার রাস্তায় পানি। বারান্দা উপচে কোনো কোনো দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। দোকানিরা বেচাকেনার চেয়ে বৃষ্টির পানিতে পণ্যসামগ্রী ভিজা থেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মার্কেটের অন্যান্য গেটের সামনে রাখা জীবানুনাশক ঘর ফাঁকা পড়ে আছে।

একেতো করোনার কারণে বেচাকেনা খারাপ তদোপরি বৃষ্টির পানি মার্কেটে প্রবেশ করায় দোকানিদের মাথায় হাত। কর্মচারীরা পানি ভেঙে কষ্ট করে এলেও মার্কেটে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্রেতার দেখা মেলেনি বলে জানান দোকানিরা।

Advertisement

আবুল কাশেম নামে একজন দোকান মালিক বলেন, ‘এ বছরটার শুরু থেকে কুফা লেগেছে। করোনার কারণে রমজানের ঈদের বাজারে বেচাকেনা ছিল না। এখন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেচাকেনার আশা করলেও করোনাভীতি ও বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা নামকাওয়াস্তে হচ্ছে। আজ মার্কেট বন্ধ না থাকলেও কার্যত বন্ধের মতোই অবস্থা।’

রেজওয়ান নামে একজন দোকান কর্মচারী বলেন, ‘করোনার কারণে বেচাকেনা না থাকায় দোকান মালিক বেতন অর্ধেক করে দিয়েছেন। ব্যবসা ভালো হলে তা পুষিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বেচাকেনার যা অবস্থা তাতে অর্ধেক বেতনও দিতে পারবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।’

জেডএ/জেআইএম

Advertisement