সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। রোববার (১৯ জুলাই) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত বলেছেন, তারা আমাদের কাছ থেকে কিট নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট দিয়ে আমরা পরীক্ষা করিয়েছি। সেটাই আমরা বলছি, এ কথা উনি কোথায় পেলেন? আমাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টকে আমরা পাঠিয়েছি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’
গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পায়নি, বিপণন হয়নি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার জন্য বা ট্রায়ালের জন্য দেয়া হয়নি। গত ১১ জুন আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকলকে সতর্কও করেছিলাম।
এতে আরও বলা হয়, এই কিট দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা মনে করছি, এটা করোনাজনিত সারাবিশ্ব তথা দেশের এই মহাদুর্যোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই উদ্ভাবনীর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের আইন বিভাগ সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা সরকারের অ্যান্টিবডি টেস্ট ও কিট-সংক্রান্ত সকল প্রকার নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
Advertisement
গণস্বাস্থ্য বলছে, এ-সংক্রান্ত কোনো প্রকার কিট পরীক্ষার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই কেউ যদি এই ধরনের কোনো তথ্য কোথাও পান অনুগ্রহ করে তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিডি/এসআর/এমকেএইচ