রাজনীতি

সরকার সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র খোঁজে : রিপন

সরকার সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র খোঁজে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।  মঙ্গলবার বিকেলে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সব কিছুতেই ষড়যন্ত্র খোঁজে কিন্তু সঙ্কট উত্তোরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে না। আর  দেশের বর্তমান যে সঙ্কট চলছে তা থেকে উত্তোরণের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন।সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন,  বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে সংলাপ ও আলোচনা পরিবেশ তৈরি করুন। একই সঙ্গে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ গঠনে সহযোগিতা করুন।তিনি বলেন, টিআইবি যখন সরকারের সমালোচনা করে তখনই ক্ষমতাসীনরা তাদের আয়ের উৎস খোঁজে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের আয়ের উৎস জনগণকে কখনো অবহিত করা হয় না। তিনি অবিলম্বে মন্ত্রী-এমপিদের আয়ের হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।টিআইবির প্রতিবেদন বিশাল নয়, অতি সামন্য বলেই বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান রিপন।  সরকারকে আবারো জাতীয় ঐক্যে ও জাতীয় সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে দলের কাযক্রমকে বাঁধা গ্রস্থ করা যাবে না। তাই এখনও সময় আছে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করুন।তিনি অভিযোগ করেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে আত্মসমার্পণ করছেন। কিন্তু আদালতএ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ৪২ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন রিপন। ভূয়া বিরোধী দল নিয়ে ক্ষমতাসীনরা ‘২০১৯’ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ চালাতে পারবে না বলে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে রিপন বলেন, ভুয়া বিরোধী দল নয়, বিএনপির সাথে সরকারকে সংলাপে বসতে হবে। কারণ আইন অনুযায়ি বিএনপিই বিরোধী দল, জাতীয় পার্টি নয়। এমনকি বর্হিবিশ্বও বিএনপিকে বিরোধী দল হিসাবে পর্যবেক্ষণ করে।বর্তমান জাতীয় সংসদে বিরোধী দল একটি বাজে নজীর চিহ্নিত হয়ে থাকবে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, গত নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছিলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। অথচ নির্বাচন কমিশন তাদের ৩০ জন সংসদ সদস্য ঘোষণা দিয়েছে। যা বাংলাদেশের জনগণসহ বর্হিবিশ্ব তাদেরকে এখন স্বীকৃতি দেয়নি। তাই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া।জাতীয় সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এই মন্তব্যের সাথে এক মত পোষণ করে তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, বর্হিবিশ্বও দাবি করেছিল বর্তমান সংসদ অবৈধ। আর টিআইবি সেই কথাটি বলেছে। কিন্তু সরকার টিআইবি’র প্রতিবেদনের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি। এমনি ওই প্রতিবেদনকে ক্ষমতাসীনরা মিথ্যা বলেও দাবি করেননি। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা টিআইবির প্রতিবেদনকে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হিসাবে দেখছেন।  সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মিলন, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এমএম/এসকেডি/এমএস

Advertisement