নতুন কৌশল নেয়ায় পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল তথ্য আর পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করায় কম করোনা শনাক্তের কারণ।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, দ্রুত করোনা আক্রান্ত দশ দেশের মধ্যে পাকিস্তান একটি। তবে চলতি মানে করোনা আক্রান্ত এত কমে আসার কারণ কী? এ ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেনি দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যানও ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।
পাকিস্তানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৬৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এতে মারা গেছে ৫ হাজার ৫৬৮ জন। গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতি দশ হাজারে একজনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে জুনে ছিল ১.৩ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে প্রকৃত পরীক্ষার সংখ্যা কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ কমেছে।
পাকিস্তান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে দৈনিক করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা ৭১ হাজার ৭৮০টি। অথচ ব্যবহার হচ্ছে তার মাত্র ৪০ ভাগ।
Advertisement
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ জুলাই দেশটিতে ২৪ হাজার ২৬২ জনের পরীক্ষা হয়েছে। ঠিক তার এক মাস আগে ১৩ জুন এই সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৪৬। এখন পর্যন্ত একদিনে গত ১৯ জুন সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৬৮১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। জুলাই থেকে যেখানে ৫০ হাজার পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার সেখানে এখন উল্টো তা কমিয়েছে।
শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা লুকানোরও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাঞ্জাবের একটি জেলার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়ছেন, উপর মহলের নির্দেশে তারা আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধেক প্রকাশ করছেন। জুলাইতে তিনি নতুন ৩৪ জন শনাক্তের তথ্য দিয়েছেন, যেখানে প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬৩।
পাকিস্তান সরকার এভাবেই একদিকে কম পরীক্ষা আর অন্যদিকে পরিসংখ্যান লুকিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
Advertisement
এমএসএইচ