বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে বাংলাদেশ পুলিশে আরও ২৭৬ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রোববার(১৯ জুলাই) পর্যন্ত পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৯২ জন।
Advertisement
এর আগে গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) এ সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৩১৬ জন। একক পেশা হিসেবেও পুলিশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
পুলিশ বলছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সরকারি নির্দেশে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ও জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি চিরাচরিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজও করতে হচ্ছে পুলিশকে। যে কারণে বেশি সংক্রমিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৫০৮ জন।
Advertisement
আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৯২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৩৯৬ জন সদস্য।
সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৫৭ জন গর্বিত সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকার ত্যাগ করে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (গোয়েন্দা) লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম (৪৬)। তিনি গত ১৭ জুলাই বিকেলে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
Advertisement
রফিকুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার চরবাকল গ্রামে। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।
জেইউ/এসআর/এমএস