হাওরের নিভৃত পল্লী কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাই ও তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই।
Advertisement
দুই দফা জানাজা শেষে রোববার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইয়ের মরদেহ দাফন করা হয়।
একই দিন দুপুর পৌনে ২টায় মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদ, বিচারপতি মাহাবুবুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন।
এরপর সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বাড়ির উঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন আবদুল হাইয়ের বড় ভাই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
Advertisement
এর আগে রোববার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে আবদুল হাইয়ের মরদেহ ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে মিঠামইনে আনা হয়। এরপর তাকে গার্ড অব অনার ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই। শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাত ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গত ২ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গত ৫ জুলাই তাকে ঢাকার সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নূর মোহাম্মদ/এএম/এমএস
Advertisement