করোনাভাইরাসের সংকটকালে সারা দেশে বন্ধ থাকা বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
রোববার (১৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন স্তরে সরকারি ও এমপিওভুক্ত ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীর বিশাল একটি অংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকেই দেয়া হয়। এ সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা মনে রেখে ইতোমধ্যে অনুদান দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু প্রতিষ্ঠানসমূহ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষক-কর্মচারী কষ্টকর জীবন-যাপন করছেন। এমতাবস্থায় আমি বেসরকারি, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত কিংবা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের কষ্ট করে হলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। সময় পরিবর্তন হলে নিশ্চয়ই শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্তরিকতা, নিষ্ঠা দিয়ে, তা পুষিয়ে দেবেন।’
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ বিষয়ে মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি কমে গেছে। নমুনা পরীক্ষা সংখ্যাগত বিচারে কমছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, লক্ষণ ও সংক্রমণ লুকিয়ে অনেকে চলাফেরা করছেন কিন্তু পরীক্ষা করাচ্ছেন না। অপরদিকে নমুনার সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার শতকরা হিসেবে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ যেমন কমেছে, দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতারণার কারণে কারও কারও আস্থা কমতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও নমুনা সংগ্রহের পর রেজাল্ট জানতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে ল্যাবগুলো। এতে মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে। যা শুভ লক্ষণ নয়। একদিকে নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ানো জরুরি, অপরদিকে স্বল্পতম সময়ে রেজাল্ট জানিয়ে দেয়াও জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও রেজাল্ট পেতে পেতে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে হতে মৃত্যুপথযাত্রী হয়ে যাচ্ছে, অথচ ফলাফল আসছে না। এমন পরিস্থিতি গণমাধ্যমে আসছে। আমি সংশ্লিষ্টদের কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল জানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।’
কাদের বলেন, ‘পাশাপাশি অনেকে মনে করছেন, অসহায়, দরিদ্র মানুষ ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় বলে নমুনা পরীক্ষা থেকে দূরে থাকছে। করোনার অভিঘাতে অনেক মানুষ এখন কর্মহীন, অসহায়। দরিদ্র মানুষের আর্থিক অক্ষমতার কথা বিবেচনা করে ফি ছাড়া পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
Advertisement
এইউএ/এফআর/পিআর