আন্তর্জাতিক

১০০ ঘণ্টায় ১০ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দেড় কোটির কাছাকাছি। জুলাই থেকে ভাইরাসটির ঊর্ধ্বমূখী সংক্রমণের মধ্যে তৈরি হলো একটি ভীতিকর মাইলফলক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, একশো ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে দশ লাখ মানুষের দেহে মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

গত জানুয়ারির শুরুতে প্রথমবারের মতো চীনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত একজন শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দশ লাখে গিয়ে ঠেকতে সময় লেগেছিল তিন মাস। কিন্তু গত ১৩ জুলাইয়ের পর আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ থেকে এক কোটি ৪০ লাখে পৌঁছাতে সময় লাগলো মাত্র চারদিন।

যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ পার হলেও দেশটিতে সংক্রমণের হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৭৭ হাজারের বেশি। অথচত প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে সুইডেনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২৮১ জন।

শনাক্ত রোগী ও মৃত্যু বাড়তে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্কিনিদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশ দেবেন না। অথচ ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দেওয়া এই পরামর্শ নিয়মিত অনুসরণ করছে অন্যান্য দেশ।

Advertisement

করোনায় মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত কিছু দেশে সংক্রমণ কমায় লকাডাউন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হচ্ছে। বিপরীতে অনেক দেশ দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের লাগাম টানতে পুনরায় লকডাউন আরোপ করছে। যেমন স্পেনের কাতালোনিয়া অঞ্চল কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। জাপানের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও মৃত্যুর সংখ্যা ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারোসহ দেশটির ২০ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতেও শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানাচ্ছে, বিশ্বে প্রতিবছর ফ্লুতে আক্রান্তের তুলনায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ। দেশগুলোকে আরও আগ্রাসী হওয়ার আহ্বান সংস্থাটির। এদিকে করোনা মহামারিতে বর্তমান বিশ্বের ‘ভঙ্গুর কঙ্কাল’ উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বিভিন্ন দেশের সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রয়টার্সের তৈরি টালিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় ভাইরাসটির বিস্তার ঘটছে সবচেয়ে দ্রুত। বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর অর্ধেকেরই বেশি দুই আমেরিকায়। এ বাদে দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে; বিশেষ করে ভারতে।

Advertisement

এসএ