পূর্বশত্রুতার জেরে কৃষকের খাসি চুরি করে খাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উপজেলার ফুলবাড়িয়া কড়িচালা গ্রামের মৃত ফালু মণ্ডলের ছেলে মালেক (৪২) ও একই গ্রামের আফছার উদ্দিনের ছেলে মো. তাইজুদ্দিন (৪৫)।
Advertisement
গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কড়িচালা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত ওই নেতা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কড়িচালা গ্রামের কৃষক নুর ইসলামের একটি খাসি পালন করতেন। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তার স্ত্রী বাড়িতে তালা দিয়ে পাশের গ্রামে জরুরি কাজে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে দেখতে পান ঘরের বারান্দার সামনে রক্ত এবং ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরের ভেতরে গিয়ে খাসি দেখতে না পেয়ে তারা চিৎকার করতে থাকেন এতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। এর আগেই চোরচক্র বাড়ির বারান্দায় খাসিটি জবাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। যাবার সময় খাসির রক্ত বাড়িসহ আশপাশে পড়েছিলে। পরে তারা রক্তের নমুনা ধরে পাশেই মালেকের বাড়ি পযর্ন্ত গিয়ে শেষ হয়।
Advertisement
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ মালেকের ঘরের ভেতর তল্লাশি করে খাসির মাংস পায় এবং বাড়ির মালিক মালেককে আটক করে রাখে। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে মাংসসহ মালেককে আটক করে। আটক মালেকের তথ্য অনুযায়ী একই গ্রামের তাইজুদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে খাসি চুরি করে জবাই করে খাওয়ার ঘটনায় কড়িচালা ও আশপাশের শতাধিক লোক শনিবার দুপরে ফুলবাড়িয়া বাজারে চোরদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধ করেন। আটকরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে খাসি চুরি করে নিয়ে আসে।
খাসি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি আটক দুই জন পুলিশের কাছে তার নাম বলেছে। যার কারণে বর্তমানে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হিরু মিয়া জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
আমিনুল ইসলাম/এমএএস/এমকেএইচ