পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রবাসী তানভির আহমেদের পোস্ট করা ভিডিও ও লিখিত বক্তব্য ভাইরাল হয়। এতে দূতাবাসের ‘কনস্যুলার সেবা নিয়ে নানা অসঙ্গতি ও অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
Advertisement
তবে তার উথ্যাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দাবি জানিয়েছে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তানভীর আহমেদ তার ভিডিও ও লিখিত বক্তব্যে দূতাবাসের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের হয়রানি করার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা
‘কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে দূতাবাসের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য তিনি এই ভিডিওসহ লিখিত বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছেন’।
বিবৃতিতে বলা হয়, তানভির আহমেদ তার ভিডিও ও লিখিত বক্তব্যে বলেছেন ১৩ জুলাই তিনি তার বন্ধুর একটি ডকুমেন্ট হাতে হাতে ডেলিভারি নেওয়ার জন্য দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে দূতাবাসের সামনে উপস্থিত হন। তিনি সে সময় দূতাবাসের গেটে হাতে হাতে ডেলিভারি দেয়ার জন্য কাউকে খুঁজে পাইনি। তার এই বক্তব্য অসত্য।
Advertisement
গত সোমবার হাতে হাতে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ১৭ জনকে সময় দেয়া হয়। দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিবের তত্ত্বাবধানে কনস্যুলার শাখার কর্মকতা ১২টার সময় দেয়া সকল ডকুমেন্টসহ ১১টা ৪৫ মিনিটে দূতাবাসের গেটে উপস্থিত হয়ে সকলকে তার স্ব স্ব ডকুমেন্ট ডেলিভারি দেন।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সময় দেয়ায় আর কেউ উপস্থিত না থাকায় কনস্যুলার কর্মকর্তা ১২টা ১৫ মিনিটে দূতাবাস ভবনে ফেরত আসেন এবং ১২টা ২৫ মিনিটে পুনরায় দূতাবাসের গেটে যান। তিনি সেখানে ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং ওইদিন ১২টায় ডেলিভারির সময় নেয়া আর কেউ উপস্থিত না থাকায় তিনি হাতে হাতে ডেলিভারির দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে কার্যক্রম শেষ করেন।
পরবর্তীতে একই কনস্যুলার কর্মকর্তা দুপুর ১টায় দূতাবাসে স্থাপিত ‘ড্রপবক্স’ খোলার জন্য যান। সেখানে গাজি সালাহউনিদ্দন নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে তার ডকুমেন্ট ডেলিভারির জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ১৩ জুলাই হাতে হাতে ডেলিভারির তালিকায় গাজি সালাহউদ্দিনের নাম না থাকায় কনস্যুলার কর্মকর্তা তাকে লিখিতভাবে আবার সময় নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
পরবর্তীতে দূতাবাসের রেকর্ড থেকে দেখা যায় গাজি সালাহউদ্দিনকে হাতে হাতে ডকুমেন্ট নেয়ার সময় দেয়া ছিল বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০। তিনি সময় অনুযায়ী ডকুমেন্ট ডেলিভারি গ্রহণ করেনি।
Advertisement
বিবৃতিতে জানানো হয়, হাতে হাতে ডকুমেন্ট ডেলিভারি দেওয়া প্রচলন করার শুরুতেই আবেদনের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি দূতাবাসের Web App ‘Mujib 100’ ও দূতাবাসের Facebook-এ জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রক্রিয়াগুলো হচ্ছে; প্রতিদিন নির্দিষ্টসংখ্যক ডকুমেন্টস দুই ভাগে দূতাবাস হতে হাতে হাতে ডেলিভারি দেওয়া হবে। ডকুমেন্টস ডেলিভারির জন্য সিরিয়াল অনুযায়ী ফোন নম্বরে SMS এর মাধ্যমে আগের দিন Appiontment দেওয়া হবে। Appiontment ছাড়া কাউকেই কোনো অবস্থাতেই কোনো ডকুমেন্টস ডেলিভারি দেওয়া হবে না।
যদি কেউ নির্দিষ্ট সময়ে দূতাবাসে আসতে না পারে তাহলে তাকে লিখিতভাবে দূতাবাসকে জানাতে হবে। ডেলিভারি নেওয়ার সময় সেবা ফরম অথবা SMS দেখাতে হবে।
‘তানভীর আহমেদ দুপুর ১২টা থেকে ১৪টা১৫ মিনিট পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি করেও দূতাবাসের গেটে কাউকে খুঁজে পাননি বক্তব্যটি সম্পূর্ণ অসত্য’।
এমআরএম/এমকেএইচ