রাজধানীর মিটফোর্ডে নকল, ভেজাল ও অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি ও মজুত করায় পাঁচটি ফার্মেসির মালিককে সাত লাখ টাকা জরিমানা ও এক ফার্মেসি মালিককে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যঅব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একটি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মিটফোর্ডের আলী চেয়ারম্যান মেডিসিন মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে অননুমোদিত ওষুধ মজুত ও বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় তাদের জেল-জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, মিটফোর্ডে নকল, ভেজাল ওষুধের সঙ্গে অননুমোদিত ওষুধ মজুত করে বিক্রি করা হচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মিটফোর্ডের আলী চেয়ারম্যান মেডিসিন মার্কেটে ছয়টি ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ নকল ভেজাল ও অননুমোদিত ওষুধ বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ জন্য পাঁচটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয় সাত লাখ টাকা। এর মধ্যে সেবা মেডিকেল এজেন্সির মালিক মো. নূরুল ইসলামকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মেডিচেইন সার্জিক্যালের মো. হাবিবুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড, জামান মেডিসিনের মো. বাহার উল্লাহকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, সিমন ড্রাগ হাউজের মো. পারভেজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেল, রিপন মেডিসিন হাউজের মালিক মো. আরিফ হোসেনকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
এছাড়া মিজান মেডিকেল হল নামে একটি ফার্মেসিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির নকল ওষুধ পাওয়া যায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালার নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠানটি থেকে আনুমানিক প্রায় ২০ লাখ টাকার নকল ও অননুমোদিত ওষুধ জব্দ করা হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নকল ওষুধ এই মার্কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল। এসকেএফের লোসেকটিল, রেনেটার ম্যাক্সপ্রো আমরা এখানে নকল পেয়েছি। এছাড়া ব্যথার ওষুধ নকল পেয়েছি। শুধু ২০ লাখ টাকার নকল ওষুধ জব্দ করেছি। এর বাইরে আন অথরাইজড বা সরকারের অনুমোদন নেই এমন ওষুধ আমদানি করে এখানে বিক্রি করা প্রমাণ পেয়েছি।
জেইউ/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement