তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে নতুন উদ্যোক্তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে গ্রামীণফোনের জিপি অ্যাকসেলেরেটর। মঙ্গলবার ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসডি এশিয়ার এবং গ্রামীণফোন একসঙ্গে এই কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দেয়। সম্প্রতি এ বিষয়ক একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে তারা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের নতুন উদ্যোক্তারা নিজেদের আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করবে। গ্রামীণফোন ও এসডি এশিয়া সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ নির্বাচন করে তাদের সব বিষয়ে পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা দেবে। তবে কর্মসূচিটি শুধুমাত্র প্রযুক্তি ও মোবাইল যোগাযোগ কেন্দ্রিক হবে যার মূল লক্ষ্য থাকবে বাস্তব জীবনে কাজে লাগে এমন সমাধান তৈরি করা। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার এরল্যান্ড প্রেস্টগার্ড বলেন, ‘কর্মসূচিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করবো। আইসিটি খাতে নেতৃস্থানীয় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাক পরিবর্তন আনবে। এমন প্রযুক্তিসেবা আনার জন্য আমরা আমাদের দক্ষতা ব্যবহার করে উৎসাহী স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের সহায়তার ব্যপারে আগ্রহী হই।’ এসময় এসডি এশিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি বলেন, একটি ইকো সিস্টেম নির্মাতা হিসেবে উদ্যোক্তাদের সফল হতে কি লাগে সে ব্যাপারে আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমরা জিপি অ্যাকসেলেরেটর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি। এর মাধ্যমে প্রতিভাবানদের উদ্ভাবনী কাজে আনা এবং তাদের উদ্ভাবনে সহায়তা করা যাবে।এই কর্মসূচির অধীনে চার মাসে দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে যার প্রথমটি হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। দ্বিতীয়টি জুনে। প্রতিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ৫ টি প্রকল্প নেয়া হবে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলো তাদের উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১০ লক্ষাধিক টাকা পাবে। এছাড়াও তারা গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে কাজ করার সুবিধা ও প্রয়োজনীয় সব ধরণের লজিস্টিক সুবিধা পাবে। প্রতিটি স্টার্টআপ প্রকল্পে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হবে। উদ্যোক্তাদের www.grameenphoneaccelerator.com ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে প্রথমে সাইনআপ করে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জিপি অ্যাকসেলেরেটরের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল কবির, এসডি এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফিজ খান, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এম ফয়েজ তাহের প্রমুখ। এআর/এসকেডি/এমএস
Advertisement