করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ও সব জরুরি সেবা প্রদানকারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা। নিজ নিজ ধর্মের চর্চা করা। সুবিনোদনে সময় দেয়া ও মন উৎফুল্ল রাখা।
Advertisement
শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব পরামর্শ দেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘নিজের স্বাস্থ্যবিধিগুলো সঠিকভাবে পালন ও নিয়মিত অভ্যাস করুন। ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী পরিধান ও খোলার বিষয়ে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন। ব্যক্তিগত জীবনে, কর্মক্ষেত্রে ও বাসায় যথাসম্ভব দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলুন। কর্মকালীন সময়ের সাথে সমন্বয় করে ৮ ঘণ্টা ঘুমের সময় রাখুন। অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হলে পরবর্তীতে বাড়তি বিশ্রাম নিন। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সময় মেনে চলুন। নিজ নিজ ধর্মের চর্চা করুন। সুবিনোদন যেমন : বই পড়া, গান শোনা, ছবি দেখা, বাগান করা ইত্যাদি বিষয়ে সময় দিন এবং মন উৎফুল্ল রাখুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তানদের সাথে সময় কাটান, যা উভয়পক্ষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক। প্রতিদিনের রুটিনে হালকা ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটির জন্য সময় নির্দিষ্ট রাখুন। কোনো প্রকার দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধি যেমন : উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক, হার্টের রোগ, কিডনির রোগ, ফুসফুসে রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন রাখুন এবং কিছু ওষুধ সবসময় আপনার সংগ্রহে রাখুন। পুষ্টিকর, সুষম ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করুন। রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এরকম খাদ্য খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন। মেযন : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, জিংক সমৃদ্ধ খাবার, পাশাপাশি আশ সমৃদ্ধ খাবারও রাখবেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। তেল, চর্বি, লবণ, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যেকোনো ধরনের মাদক বর্জন করুন।’
Advertisement
পিডি/জেডএ/এমকেএইচ