নানা কারণে হাসপাতালের ওপর রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আশা করব আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
Advertisement
শনিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোগীর অভাবে কোনো কোনো হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে। সংক্রমণের বর্তমান স্তরে রোগীর সংখ্যা কম নয়। তাছাড়া সাধারণ রোগী তো রয়েছেই। হাসপাতাল বন্ধ রাখা সমাধান নয়।
তিনি বলেন, আমি বলব, আপনারা রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনুন। হাসপাতালমুখী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন। অনেক বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নানা কারণে রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে। তাই আশা করব আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।
Advertisement
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে আক্রান্তদের পাশে থেকে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দেশের চিকিৎসক-নার্স মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া আরও আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মানবতার কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে সম্মুখ সারির অনেক যোদ্ধা ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ দিয়েছেন চিকিৎসক-নার্স, টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-আনসার, সেনা সদস্য এবং সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, আমি সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করছেন তাদেরকে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশ ও জাতি আপনাদের এ ত্যাগ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আপনারাই প্রকৃত বীর যোদ্ধা, আপনারা অন্যদের বেঁচে থাকার প্রেরণা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে সরকারিভাবে নেমে পড়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বেসরকারিভাবে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বন্যাদুর্গতদের প্রতি মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অনেকে ঢাকায় বসে বক্তৃতা-বিবৃতি দোষারোপের রাজনীতি করছে, তাদের প্রতি অনুরোধ করছি বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে।
এইউএ/এমএফ/এমকেএইচ
Advertisement