ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংবাদ সংগ্রহে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও কম সময়ে মাল্টিমিডিয়া সংবাদ প্রকাশের কারণে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে মোবাইল জার্নালিজম। কখনই যেন পাঠকের কাছে ভুল তথ্য না পৌঁছায় সে দিকে সাংবাদিকদের খেয়াল রাখাও জরুরি।
Advertisement
সংবাদ সংগ্রহে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর আয়োজিত ই-টকে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং ফ্রেডরিখ নুইম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে এই ই-টকের আয়োজন করে।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউল্যাব এর মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো।
Advertisement
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন ফ্রেডরিখ নুইম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেইন।
ই-টকে ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মহামারীর সময় সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে পাঠক ও দর্শকের কাছে তুলে ধরাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, কোনো ভুল তথ্য যাতে পাঠক-দর্শকের কাছে এই সময় না পৌঁছায় সেদিকে খেয়াল রাখার প্রয়োজন।
মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা প্রতিবেদন একদিকে যেমন উপকারী তেমনি অনেক সময় এটির কারণে বড় কোনো সংবাদ কাভার করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার অভিজ্ঞতার কথা অংশগ্রহণকারীদের সাথে তুলে ধরেন প্রথম আলোর মানসুরা হোসাইন।
নিউজ কাভার করতে গিয়ে নিজের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা একজন সাধারণ নাগরিকের মতো সাংবাদিককেও মেনে চলার পরামর্শ দেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
Advertisement
একাত্তর টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, মোবাইল প্রযুক্তি সম্প্রচার মাধ্যমের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছে এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে টিভি মিডিয়াতেও পরিবর্তন ঘটছে।
ই-টকে ৭৩ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাবিল খান।
এএ