রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। কাপাসিয়া বাজারের জুয়েলারি ব্যবসায়ী চন্দন রক্ষিত শুক্রবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় মামলাটি করেন।
Advertisement
মামলার বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চন্দন রক্ষিত কাপাসিয়া বাজারে ‘বর্ণালী জুয়েলারী’ নামে দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি মাসুদ পারভেজ বিয়ের কথা বলে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে নেকলেস, গলার হার, কানের ঝুমকা, হাতের বালা, কান টানা, টায়রা আংটি ইত্যাদিসহ সাড়ে ১৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারের অর্ডার দেন। স্বর্ণালংকার, তাতে ব্যবহৃত পাথর ও মজুরিসহ দাম হয় পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ টাকা। একই বছরের ১ মার্চ তিনি ১২ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ করেন। সাত দিন পর বাকি পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বর্ণালংকার নিয়ে যান।
মাসুদ পারভেজ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাপাসিয়া শাখার কর্মকর্তা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বাকিতে স্বর্ণালংকার বিক্রি করেন চন্দন। পরবর্তীতে টাকা চাইলে তাকে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালে ১২ মে মাসুদ পারভেজ তার দোকানে গিয়ে ওই ব্যাংকের পাঁচ লাখ টাকার চেক দেন এবং এক মাস পর চেক জমা দিতে বলেন। তার কথামতো বাদী চেকটি ব্যাংকে জমা দিতে চাইলে মাসুদ পারভেজ চেকটি জমা না দেয়ার অনুরোধ করেন এবং নগদে টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে টাকা চাইলে মাসুদ পারভেজ টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন কথা বলে কালক্ষেপণ করেন।
একপর্যায়ে বাদী ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়- চেক দেয়ার তারিখের আগেই চেকের অ্যাকাউন্টটি ক্লোজ করা হয়েছে। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালের ১৯ জুন মাসুদ পাভেজের নিকট পাওনা পাঁচ লাখ টাকা চাইলে সময় চেয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন।
Advertisement
উল্লেখ, রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গত মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাকে গ্রেফতারের পর কাপাসিয়ায় তার প্রতারণার বিভিন্ন খবর বের হতে থাকে। কাপাসিয়ার স্থানীয় লোকজন প্রতারক মাসুদ পারভেজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমএস