যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাইল সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মনিরুল (৩২) নামে এক বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভারতের ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার পুলিশ তার মরদেহ সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে উদ্ধার করে। নিহত মনিরুল বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামের মুনসুরের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ভোরে মনিরুলসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী ও রাখাল ভারতীয় গরু নেয়ার জন্য পুটখালী সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছিল। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও মনিরুল বিএসএফের হাতে আটক হন। বিএসএফ সদস্যরা পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মরদেহ সীমান্তের ইছামতি নদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে ২৫০ গজ দূরে ভারতীয় অংশে ফেলে রেখে যায়। এরপর সকাল ১১টার দিকে বিএসএফের মাধ্যমে খবর পেয়ে ভারতের ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার পুলিশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ হাসপাতালে পাঠায়। মরদেহটি বর্তমানে বনগাঁ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে ওপারের একটি সূত্র জানায়। স্বজনদের অভিযোগ, মনিরুল ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। ফেরার সময় আংরাইল সীমান্তে বিএসএফের হাতে মনিরুল ধরা পড়ে। বিএসএফ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়।পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কেনা গরু ভারত সীমান্ত থেকে পার করে এপারে নিয়ে আসতো মনিরুল। ভোরে তিনি গরু আনতে সীমান্ত এলাকায় যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। পুটখালী বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ফরিদ উদ্দিন জানান, নিহত ওই যুবক বিএসএফের পিটুনিতে মারা গেছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। বিস্তারিত জানার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। খুলনা-২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুর রহিম জানান, বিএসএফের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন সকালে এক যুবকের মরদেহ নদীর পাড় থেকে ভারতীয় পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। তবে তিনি মনিরুল কি না ? এ বিষয়ে বিএসএফ নিশ্চিত করে আমাদের কিছু জানায় নি। বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটে থাকলে প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহ ফেরতের দাবি জানানো হবে বলেও জানান তিনি। জামাল হোসেন/এআরএ/এমএস
Advertisement