দেশজুড়ে

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে গণডাকাতি : ৪০ জেলে অপহরণ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে বেড়েছে জলদস্যুদের তাণ্ডব। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের পরেও কমছে না দস্যুতা। মঙ্গলবার গভীররাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সুন্দরবন সংলগ্ন ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে ট্রলারে গণডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।  জলদস্যুরা জেলে বহরে গণডাকাতির পর ৪০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় তিনটি মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়তে নিজেদের মোবাইল নম্বরসহ নিজস্ব টোকেনও রেখে যায় গেছে জলদস্যুরা। জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ ধরার সময় জেলে বহরে হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং নগদ অর্থ লুট করে নেয় জলদস্যুরা। এ সময় তারা তিনটি ট্রলারসহ ৪০ জেলেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের গহীনে নিয়ে যায়।   বঙ্গোপসাগরে গণডাকাতির শিকার হয়ে ফিরে আসা জেলের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরো জানান, ডাকাতির সময় জলদস্যুরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ তিন জেলে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলেন মো, আল-আমীন, মো. নাঈম এবং মো. রাজু।অপহৃত ৪০ জেলের মধ্যে ১৫ জেলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বাকি জেলেদের বাড়ি সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। অপহৃতদের মধ্যে মোজ্জাম্মেল মাঝি, রফিক মাঝি,  স্বপন, ফোরকান, মোশারেফের নাম জানা গেলেও বাকিদের নাম এখনও জানা যায়নি। আর ছিনতাই হওয়া ট্রলার তিনটির হলো, এফবি এলমা আক্তার, এফবি রিয়াজ উদ্দিন এবং এফবি শিরাজুল।এ বিষয়ে পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. এসএ রউফ জাগো নিউজকে জানান, জেলে অপহরণ ও ট্রলার ছিনতাইয়ের বিষয়টি তারা শুনেছেন। অপহৃত জেলে ও ছিনতাইকৃত ট্রলার উদ্ধারে কোস্টগার্ড সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এআরএ/এমএস

Advertisement