দেশজুড়ে

রাজন হত্যা মামলার রায় ৮ নভেম্বর

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার রায় আগামী ৮ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা।বিচার শুরুর ২৭ দিনের মধ্যে আলোচিত এই মামলার রায় প্রদানের তারিখ নির্ধারিত হলো। গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৮ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী। তিনি জানান, এই মামলায় গত রোববার ও সোমবার ৯ আসামি ও আজ পলাতক দু`জনসহ ৪ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।মামলার ১৩ আসামির মধ্যে দু`জন পলাতক ও ১১ জন কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে যারা রয়েছেন তারা হলেন, মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী। আর পলাতক রয়েছেন পাভেল আহমদ ও শামীম আহমদ।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাভোকেট শওকত জানান, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে আদালত আগামী ৮নভেম্বর রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২ টায় মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়।গত ২৪ অক্টোবর রোববার রাজন হত্যা মামলায় প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও আসামি যাচাইবাছাই শেষ হয়। ওইদিন ৩৪২ ধারায় আসামিদের যাচাই বাছাইকালে রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ সকল আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করে। এছাড়া নুর আহমদ আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে।গত ২১ অক্টোবর কামরুলের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় জেরা করা হয় আলোচিত এ মামলার ১১ সাক্ষীকে। ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলের ভাই শামীম ও পাভেল নামের দুজন পলাতক রয়েছেন।উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।    ছামির মাহমুদ/এসএস/এমএস

Advertisement