বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যু হয়নি, তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
Advertisement
তিনি বলেন, এই সরকার ভুয়া মাস্ক ডাক্তারদেরকে সরবরাহ করে ডাক্তারদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, ডাক্তাররা মারা গেছে। তাদেরকে ভুয়া মাস্ক দিয়ে করোনায় আক্রান্ত করে হত্যা করা হয়েছে। করোনার ভুয়া সনদ দিয়ে জনগণকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়েছে। জনগণ রাস্তায় পড়ে মারা গেছে। তারাতো মারা যায় নাই, তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত করোনা সনদ বিক্রির অর্থ, মানবপাচার এবং মহাদুর্নীতির প্রকোপ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
সোহেল বলেন, ‘সাহেদ, সাবরিনা, আরিফ এরা কি একাই মিঠা খেয়েছে? এই মিঠা অনেকেই খেয়েছে। আর কে কে খেয়েছে আমরা তাদের নাম জানতে চাই। আর বলতে চাই, এই সাহেদদের যেন বাংলাদেশের মাটিতে সুষ্ঠু বিচার হয়। আর যদি না হয় তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সব দ্বায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আজ যদি বাংলাদেশে বৈধ সরকার থাকত তাহলে ভুটানের মতো ভিয়েতনামের মতো হয়তো আমরা সফল হতে পারতাম। দেশে জনগণের সরকার নয় বলেই জনগণের কোনো দায়-দায়িত্ব নেয় না; উল্টো লুটপাট করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব মৃত্যুর পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে বলেন, আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী। কিন্তু সাধারণ জনগণের কথা বাদ দিলাম, আপনার দলের নাসিম ও সাহারা খাতুনকে কেন আপনারা বাঁচাতে পারলেন না।’
বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, এদেশের জনগণকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়েছেন অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল, হানিফ। আরও কতজন পালিয়েছে আমরা জানি না। তলে তলে আরও কতজন পালানোর পাঁয়তারা করছেন তা দেখার বিষয়।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
কেএইচ/এসআর
Advertisement