চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয় ২০১৮ সালে। অবশেষে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৮ মাস পর নতুন কমিটি পেতে যাচ্ছে চবি ছাত্রদল।
Advertisement
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। যেখানে মেধাবী, পরিশ্রমী, পরীক্ষিত- এই তিন যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। আর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব- দুই পদ পেতে মরিয়া নয় নেতা। ইতোমধ্যে তারা কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন।
এদিকে, নতুন কমিটি গঠনের খবরে চাঙা হয়ে উঠেছে চবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অতীতে যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া নয় ছাত্রদল নেতার অধিকাংশের নেই ছাত্রত্ব। একই সঙ্গে বিগত দিনে অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক মামলা-হামলার শিকার তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বয়ক পদে এগিয়ে আছেন চার প্রার্থী। এদের মধ্যে বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন উর রশিদ মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া আহ্বায়ক প্রার্থী হিসেবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শাহাদাত খন্দকার ও আলাউদ্দিন মহসিন। তবে এদের মধ্যে মামুন উর রশীদ ও এসএম আবদুল্লাহ আল নোমানের ছাত্রত্ব আছে।
Advertisement
সদস্য সচিব পদে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, আবু বক্কর সিদ্দিক মাসুম, ইমরানুল হক, জসিম উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক মহিন উদ্দিন। সদস্য সচিব পদে মোটামুটি সবার ছাত্রত্ব রয়েছে।
আসন্ন কমিটির বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল জাগো নিউজকে বলেন, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। যাচাই-বাছাই প্রায় শেষ। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করছেন তারাই আসবে এবারের নেতৃত্বে। তবে কোনোভাবেই মাদাকাসক্ত ও অনুপ্রবেশকারীরা কমিটিতে স্থান পাবে না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে দীর্ঘ ছয় বছর পর খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রদলের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের ১৮ মে ২৪৩ জনের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ।
অভিযোগ রয়েছে, যাদের পদ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কমিটিতে ২৪৩ জনকে পদ দেয়া হলেও বাস্তবে তাদের কোনো সক্রিয়তা নেই।
Advertisement
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/এমকেএইচ