বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে ফিভার ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো, করোনা ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে করোনা সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএসএমএমইউ ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৬৩ জন রোগীর নমুনা করোনা শনাক্তের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩৪৮ রোগীর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত ১ এপ্রিল বেতার ভবনে করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরি চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ফিভার ক্লিনিকে ২৭ হাজার ৩৫৫ জন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩৭০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওই সময় পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২১৮ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৭০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২৪ ঘণ্টাই চালু রয়েছে বিএসএমএমইউর ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারের চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি কার্যক্রম। গত ৪ জুলাই থেকে বিএসএমএমইউতে ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে আজ বিএসএমএমইউ অডিটোরিয়ামে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া করোনা সেন্টারে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, শিক্ষক, রেসিডেন্টবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বেতার ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রতিদিন আইইডিসিআরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। রোগীরা বিএসএমএমইউয়ের ওয়েবসাইটে (www.bsmmu.edu.bd) প্রবেশ করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ফিভার ক্লিনিক ও করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরির সেবাসমূহ নিচ্ছেন।
বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রোগীদের সুবিধার্থে হেল্প লাইন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত ‘বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন’ ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গত ৫ এপ্রিল বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন সেবা কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement