জাতীয়

‘ওয়ারীতে লকডাউনেও অপরিবর্তিত সংক্রমণের হার’

ওয়ারীতে লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশই রয়েছে। অর্থাৎ ওয়ারীতে লকডাউন শুরুর ১৫ দিন পার হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে করোনা সংক্রমণের হার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে ওয়ারী লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া লকডাউন এলাকায় আজ থেকে ২৮টি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণকে স্যাম্পল দিতে আহ্বান জানাবে। তবে স্যাম্পলের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকা জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ এলাকার মানুষের স্যাম্পল পরীক্ষা করা হবে।

সভায় জানানো হয়, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশই রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০০ লোককে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার সরবরাহ এবং প্রতিদিন সকালে প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

সভায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ওয়ারীতে আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি এলাকার বাসিন্দাদের আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ লকডাউন কার্যকরে সর্বাত্মক সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

Advertisement

করোনা মহামারির সময়ে ব্যবসা মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না, জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করায় মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মন্তব্য করে মেয়র বলেন, লকডাউনকৃত এলাকায় প্যাসিফিক ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং তিনটি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যে কোনো একটি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দুইটা বন্ধ করা হবে।

প্রায় লক্ষাধিক লোকের এলাকায় গত ১১ দিনে মাত্র ১৪৮ জনের স্যাম্পল প্রদান বাস্তবিক চিত্রের প্রতিফলন হতে পারে না মন্তব্য করে মেয়র আরও বলেন, স্যাম্পল দিতে জনগণকে আরও বেশি সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার এবং বর্তমানে সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই, যেসব বাসা-বাড়িতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী রয়েছে, সেসব বাড়ির মানুষ যাতে বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

এএস/এএইচ/এমকেএইচ

Advertisement